অন্ধ্রপ্রদেশে বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও একটি যাত্রীবোঝাই বাসে অগ্নিকাণ্ড। এ বার ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশ। দিল্লি থেকে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে শনিবার রাতে গোন্ডার উদ্দেশ রওনা দেয় একটি বাতানুকুল দোতলা বাস। রবিবার ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ কাকোরী থানা এলাকার খেওরী টোলপ্লাজার কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গিয়েছে, বাসটি খেওরা টোলপ্লাজা পেরিয়ে ৫০০ মিটার এগোতেই পিছনের দিকের চাকায় আগুন ধরে যায়। কয়েক মিনিটের মধ্যে সেই আগুন ভয়ানক আকার ধারণ করে। তবে অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলের মতো ঘটনা ঘটনার আগেই চালকের তৎপরতায় যাত্রীদের নিরাপদে বাস থেকে বার করে আনা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, পিছনের চাকায় প্রথমে ধোঁয়া দেখতে পান চালক। বাসটি তখন লখনউ-আগরা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে ছুটছিল। সেই ধোঁয়া দেখামাত্রই চালক বাসটিকে সড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে দেন। তার পর যাত্রীদের দ্রুত বাস থেকে নামার জন্য সতর্ক করেন। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। যাত্রীরা বাস থেকে নামতেই পুরো বাসটি আগুনের গ্রাসে চলে যায়।
আরও পড়ুন:
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে কাকোরা থানার পুলিশ এবং দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কিন্তু তত ক্ষণে বাসটি পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে দমকলের সন্দেহ, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে গিয়েছিল বাসে। তবে ঠিক কী থেকে আগুন লেগেছে, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে কুর্নুলের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার আগেই যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ভোরে হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী যাত্রীবোঝাই বাসে আগুন ধরে গিয়ে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাইকের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর আগুন ধরে যায় বাসে। বার হওয়ার সুযোগ পাননি যাত্রীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, শর্ট সার্কিটের কারণে স্বয়ংক্রিয় দরজা আটকে গিয়েছিল। ফলে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ২০ যাত্রীর। সেই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। তার মধ্যেই আরও এক বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।