আগুনে পুড়ে ছাই হল ম্যাট্রিক পরীক্ষার কয়েক হাজার উত্তরপত্র। অসমের যোরহাটে। তা নিয়ে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। পথ অবরোধ করা হল। মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। পোড়ানো হয় শিক্ষামন্ত্রীর কুশপুতুল।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী শরৎ বরকটকি জানিয়েছেন, এ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করা হবে। প্রতিটি স্কুলে ২ জন করে নৈশরক্ষী মোতায়েন করবে সরকার। এর পিছনে দুষ্কৃতীদের হাত থাকার আশঙ্কাও তিনি উড়িয়ে দেননি। মন্ত্রী জানিয়েছেন, যে সব কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পুড়ে গিয়েছে। সে সব কেন্দ্রে ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে, শিক্ষামন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা।
এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব টি ওয়াই দাসকে এ নিয়ে সিআইডি তদন্ত করানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব পবন কুমার বরঠাকুরের কাছে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। যোরহাটের ডিসিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর নির্দেশও দিয়েছেন গগৈ। একইসঙ্গে ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, গত রাতে শঙ্করদেব সেমিনারি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আগুন লাগে। ওই স্কুলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষার ৬৮ হাজার উত্তরপত্র রাখার কথা ছিল। এখন পর্যন্ত পৌঁছেছে ৫০-৫৫ হাজার উত্তরপত্র। আগুনে বেশিরভাগ উত্তরপত্র পুড়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে বিদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার পিছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে। জেলাশাসক জানান, ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ বা সেবা সূত্রে প্রথমে জানানো হয়েছিল, আগুনে অন্তত ১০ হাজার ছাত্রছাত্রীর ৬টি বিষয়ের উত্তরপত্র পুরোপুরি বা আংশিক পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাংলা, ভুগোল, বিজ্ঞান, সমাজ অধ্যয়ন, ঐচ্ছিক গণিত ও ঐচ্ছিক হিন্দি বিষয়ের উত্তরপত্র সেখানে ছিল। পরে ওই সংস্থা জানায়, ৮ হাজার ৮২৫টি উত্তরপত্র পুড়েছে। সেবা-র চেয়ারম্যান এই ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ‘সেবা’র তরফেও আশঙ্কা করা হচ্ছে, ঘটনার পিছনে দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy