কাঞ্চন চৌধরি ভট্টাচার্য।
গত শতকের আশির দশকে দূরদর্শনে অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ছিল ‘উড়ান’। গল্পটি ছিল একটি মেয়ের আইপিএস হওয়ার লড়াই। যাঁর জীবনকে ভিত্তি করে ধারাবাহিকটি তৈরি হয়েছিল, তিনি দেশের প্রথম মহিলা ডিজিপি কাঞ্চন চৌধরি ভট্টাচার্য। গত কাল রাতে মুম্বইয়ে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
কাঞ্চনের জীবন অবলম্বনে তাঁর বোন কবিতা চৌধরি তৈরি করেছিলেন ‘উড়ান’ ধারাবাহিকটি। সেখানে অতিথি শিল্পী হিসেবে অভিনয়ও করেছিলেন দেশের প্রথম ডিজিপি।
গত পাঁচ-ছ’মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন কাঞ্চন। মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। কাঞ্চন দেশের দ্বিতীয় মহিলা আইপিএস, কিরণ বেদীর পরে। ১৯৭৩-এর ব্যাচের আইপিএস কাঞ্চন ২০০৪ সালে উত্তরাখণ্ড পুলিশের ডিজি হয়েছিলেন। ২০০৭ সালের অক্টোবরে তিনি অবসর নেন। ৩৩ বছরের চাকরি জীবনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন ওই মহিলা পুলিশ অফিসার। সিআইএসএফের আইজি পদে ছিলেন তিনি। জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন সৈয়দ মোদী হত্যাকাণ্ড এবং রিলায়্যান্স-বম্বে ডাইং মামলার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ের তদন্তভার ছিল তাঁর উপর। ২০০৪ সালে মেক্সিকোয় ইন্টারপোলের বৈঠকে কাঞ্চন ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
চাকরি জীবনে উল্লেখযোগ্য কাজের স্বীকৃতি হিসেবে কাঞ্চন ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক পেয়েছিলেন। সামগ্রিক পারফরম্যান্সের জন্য রাজীব গাঁধী পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি। অবসরের পরে কাঞ্চন রাজনীতিতে যোগ দেন। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির টিকিটে হরিদ্বার কেন্দ্রে প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি। যদিও পরাজিত হয়েছিলেন।
দেশের প্রথম ডিজিপির প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে আইপিএস অ্যাসোসিয়েশনের টুইট, ‘‘ক্ষুরধার মস্তিষ্ক এবং সংবেদনশীল হৃদয় ছিল। অনেক কিছু তিনি প্রথম অর্জন করেছেন এবং পুরস্কৃত হয়েছেন।’’ উত্তরাখণ্ডের ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) অশোক কুমারের কথায়, ‘‘খুব সাধারণ ভাবে থাকতেন এবং সুন্দর স্বভাবের মানুষ ছিলেন। যখন ডিজিপি ছিলেন তখন ওঁর অধীনে কাজ করেছি। স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দিতেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy