কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র ।
মোদী পদবি অবমাননা মামলার জেরে গত মার্চ মাসে সাংসদ পদ খুইয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তার চার মাসের মাথায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সংসদে প্রত্যাবর্তন হয়েছে তাঁর। সাংসদ পদ ফিরে পেয়েছেন তিনি। আর সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় নিজের লোকসভা কেন্দ্র ওয়েনাড়ের উদ্দেশে রওনা দিলেন রাহুল। শুক্রবারই দিল্লির বাসভবন থেকে তিনি ওয়েনাড়ের পথে রওনা দেন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, আপাতত শনিবার এবং রবিবার ওয়েনাড়েই থাকবেন রাহুল। রবিবার সেখানে একটি জেলা কংগ্রেস কমিটির বৈঠকে যোগ দেবেন সাংসদ। সেখানে কংগ্রেস নেতৃত্বদের সঙ্গে বসে লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচনী কৌশল ঠিক করতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে।
রাহুল যে ওয়েনাড় যাবেন, তা পূর্বনির্ধারিত ছিল। কেরল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভিটি সিদ্দিক মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, শনিবার ওয়েনাড়ে যাবেন রাহুল। রাহুলের আগমন উপলক্ষে সেখানে বিরাট আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাহুল সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার পর থেকেই উৎসবের মেজাজ দেখা গিয়েছিল সারা ওয়েনাড় জুড়ে। এ বার ‘অভিভাবক’-এর আগমনে দ্বিগুণ আনন্দ উদ্যাপন হবে বলে জনিয়েছেন সিদ্দিকি।
পাশাপাশি, সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ১২, তুঘলক লেনের বাংলোটি রাহুলকে ইতিমধ্যেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পরে পরেই তাঁকে ওই বাংলো ছেড়ে দিতে হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, মোদী পদবি অবমাননা মামলায় রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সুরাতের আদালত। তাঁকে দু’বছরের কারাদণ্ডও দিয়েছিলেন সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক। ওই শাস্তির ফলেই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। কারণ, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(১) ধারা অনুযায়ী, কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাংসদ-বিধায়কের দু’বছর বা তার বেশি কারাদণ্ড হলে তৎক্ষণাৎ তাঁর সাংসদ বা বিধায়ক পদ চলে যায়। এমনকি, আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাহুলের ভোটে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রেও তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। কিন্তু ৪ অগস্ট রাহুলের সেই শাস্তির নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তার ৪৮ ঘণ্টা পরেই রাহুলকে তাঁর সাংসদ পদ ফিরিয়ে দিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। স্পিকারের সচিবালয় থেকে গত সোমবার সকালে ওই বিষয়ে নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy