প্রতীকী ছবি।
বন্ধ গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার এক ব্যবসায়ীর দেহ। সাপের ছোবল দিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার মৃতের বান্ধবী-সহ পাঁচ জন। শনিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানির তিনপানি এলাকায়। মৃত ব্যবসায়ীর নাম অঙ্কিত চৌহান (৩০)। যে গাড়ি থেকে অঙ্কিতের দেহ উদ্ধার করা হয় তা রাস্তার ধারে ইঞ্জিন চালু রাখা অবস্থায় বহু ক্ষণ দাঁড়িয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রের খবর। গাড়ির দরজা, জানলা সমস্ত বন্ধ থাকায় পুলিশ অনুমান করেছিল, গাড়ির ভিতর কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ বাড়তে থাকায় দমবন্ধ হয়ে মারা যান অঙ্কিত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পৌঁছলে চমকে যায় পুলিশ।
অঙ্কিতের দেহের ভিতর সাপের বিষের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ঘনিয়ে ওঠে রহস্য। তদন্তে নেমে অঙ্কিতের ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। তাঁদের সন্দেহের তালিকায় চলে আসেন অঙ্কিতের প্রেমিকা মাহি ওরফে ডলি আর্য। পুলিশের দাবি, মাহির সঙ্গে এক সাপুড়ের যোগাযোগের সূত্রও খুঁজে পায় তারা। সেই সূত্র ধরে উত্তরপ্রদেশের সাপুড়ে রমেশনাথকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রমেশনাথকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, মাহি, মাহির বন্ধু দীপ কানপাল এবং আরও দু’জন মিলে অঙ্কিতকে সাপের বিষ দিয়ে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন। রমেশনাথের দাবি, অঙ্কিতের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন মাহি।
মদ্যপ অবস্থায় মাহির উপর প্রায়ই শারীরিক অত্যাচার করতেন অঙ্কিত। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বন্ধুদের সঙ্গে অঙ্কিতকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন মাহি। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, ঘটনার আগের দিন মাহির বাড়িতে গিয়েছিলেন অঙ্কিত। সেখানে মাহি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাকি তিন জন। পুলিশের অনুমান, মাহির বাড়িতে প্রথমে মদ অথবা পানীয়ের মধ্যে মাদক মিশিয়ে তা খাওয়ানো হয় অঙ্কিতকে। অচেতন হওয়ার পর অঙ্কিতের গায়ে কোবরা জাতের বিষধর সাপ ছেড়ে দেন তাঁরা। কোবরার কামড়েই মৃত্যু হয় অঙ্কিতের বলে পুলিশের দাবি। অঙ্কিতের মৃত্যুর পর মাহি-সহ চার জন পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy