ঘোষণা মাত্রই শুরু হয়েছিল বিতর্ক ও সমালোচনা। বৃহস্পতিবার ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিলেন, রাজধানী, শতাব্দী ও দুরন্ত এক্সপ্রেসের কিছু শ্রেণিতে চাহিদা অনুযায়ী ধাপে ধাপে ভাড়া বৃদ্ধি (ডায়নামিক ফেয়ার) আপাতত পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই চালু করা হচ্ছে। কিছু দিন পরে এই নয়া ব্যবস্থা পর্যালোচনাও করা হবে।
বুধবারই রেল জানিয়েছিল, রাজধানী, শতাব্দী ও দুরন্তের বাতানুকূল প্রথম শ্রেণি এবং এগজিকিউটিভ চেয়ার কার ছাড়া অন্যান্য শ্রেণিতে এ বার থেকে টিকিটের চাহিদা অনুযায়ী ভাড়া বাড়বে। ওই ট্রেনগুলির কোনও শ্রেণিতে মোট যত আসন আছে, তার প্রথম ১০ শতাংশের ভাড়ায় কোনও বদল হবে না। তার পর প্রতি ১০ শতাংশ আসন-পিছু ১০ শতাংশ করে ভাড়া বাড়তে থাকবে। কর্তাদের যুক্তি, বর্তমানে যাত্রী পরিবহণে ফি-বছর ৩৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে রেল। এই বোঝা কমাতে গেলে ভা়ড়া বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই।
যদিও অনেকেই সেই যুক্তি মানতে নারাজ। প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মুকুল রায় বলেছেন, ‘‘রেল কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়। তার সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। এ ভাবে অবিবেচকের মতো ভাড়া বাড়ানোটা সেই দায়বদ্ধতার পরিপন্থী।’’ রেলের টিকিট ও পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থার কর্তা কপিল রায়জাদা মনে করেন, উৎসবের মরসুমের আগে হঠাৎ ভাড়াবৃদ্ধি লোকের উপরে চাপ তৈরি করবে। এর সঙ্গে যোগ
হয়েছে বৃহস্পতিবার রাহুল গাঁধীর টুইট। কংগ্রেস সহ-সভাপতি লিখেছেন, ‘‘ট্রেনের গতি বাড়বে কি না জানা নেই, তবে মোদীজি ভাড়াটাকে ফাস্ট ট্র্যাকে বসিয়ে দিয়েছেন। তাঁর মডেলই হল, সাধারণ মানুষকে লুঠ করা এবং তাঁর কিছু শিল্পপতি বন্ধুকে স্বস্তি দেওয়া।’’
এই পরিস্থিতিতে রেলের এক মুখপাত্রের বক্তব্য, কী ভাবে আয় বাড়ানো যায়, তা নিয়েই নানা পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। এটাও তেমনই একটা বিষয়। ফলে এখনই সব ট্রেনে হুহু করে ভাড়া বাড়ানো হবে, এমন ভাবারও কারণ নেই। রেলকর্মী সংগঠন এবং কর্তাদের অনেকে এ-ও বলছেন, রাজধানী, দুরন্ত ও শতাব্দী এক্সপ্রেসে মূলত আর্থিক ভাবে সচ্ছল যাত্রীরাই চড়েন। ফলে ভাড়া বাড়লেও তাঁদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy