বানভাসি। লঙ্গাই নদীর জলে ডুবেছে আনন্দপুর গ্রাম। মঙ্গলবার করিমগঞ্জে। উত্তম মুহরীর তোলা ছবি।
কাটাখাল ও ধলেশ্বরীর জল ফের বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরও জটিল হাইলাকান্দিতে।
ভাদ্রের বন্যায় দিশাহারা জেলার কৃষকরা। বন্যার জলে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর ধানক্ষেত ডুবেছে। জেলার পাঁচগ্রামের কালীবাড়ি এলাকায় রাস্তায় জল ওঠায় ৫৩ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ। নদী-ভাঙনের তাণ্ডবে কাটাখাল, ধলেশ্বরী নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। কয়েক দিন আগেই লালার নিজবর্নারপুর এলাকার ৩টি বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ায় ২১ জন গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরে দিন কাটাচ্ছেন। রবিবার লালার নিমাইচান্দপুর গ্রামে ফলাই বিবির ঘর কাটাখালের গর্ভে গিয়েছে। ওই এলাকার আরও কয়েকটি বাড়ি যে কোনও সময় নদীতে তলিয়ে যেতে পারে।
কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে দক্ষিণ হাইলাকান্দির পাহাড়ে ধস নামছে। কাটলিছড়ার জৈনপুঞ্জি, শান্তিপুর এলাকায় আদা, হলুদ, আনারসের বাগান নষ্ট হচ্ছে। এই দুর্দশায় প্রশাসনের সাহায্য মিলছে না বলে উপজাতি চাষিরা অভিযোগ করেছেন। জেলার কৃষি উন্নয়ন আধিকারিক এ আহমেদ জানান, বিভাগের তরফে সমীক্ষা করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখা হচ্ছে।
হাইলাকান্দি জেলার আলগাপুর সার্কেলে কৃষকরা কার্যত পথে বসেছেন। আলগাপুরের নারায়ণপুর, মোহনপুর, বর্নি ব্রিজ এলাকায় বোরো ধানের জমি জলের তলায়। জেলার অসংখ্য মানুষ জলবন্দি। জলমগ্ন এলাকায় গবাদি পশুর খাদ্যসঙ্কট দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ, জলসম্পদ বিভাগের কাজ গ্রামের মানুষকেই করতে হচ্ছে। নদীর জল গ্রামে ঢোকা আটকাতে গ্রামবাসীরাই বাঁধ গড়ছেন। দক্ষিণ হাইলাকান্দির কাটলিছড়া সার্কেলের গাঞ্জাখাউরি এলাকায় ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সার্কেল অফিসার সরফরাজ হক বন্যাকবলিত এলাকার খোঁজখবর নিয়েছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় পানীয় জলের অভাব রয়েছে। কিন্তু জল-পরিশোধক রাসায়নিক সেখানে পৌঁছচ্ছে না বলে অভিযোগ। যদিও হাইলাকান্দি জনস্বাস্থ্য কারিগরী বিভাগ এ কথা মানতে চায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy