Advertisement
E-Paper

উত্তরপ্রদেশে ১৭ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি! সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বারাণসী ও প্রয়াগরাজের, বসতি এলাকায় ঢুকে পড়েছে গঙ্গা

মৌসম ভবন জানিয়েছে, মঙ্গলবারেও ভারী বৃষ্টি হবে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায়। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হতে পারে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই বৃষ্টি এবং বন্যা পরিস্থিতিতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৫ ১২:২৭
বারাণসীর নমো ঘাট। ছবি: পিটিআই।

বারাণসীর নমো ঘাট। ছবি: পিটিআই।

টানা বৃষ্টির জেরে উত্তরপ্রদেশের ১৭ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও নদীগুলি আবার বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। তবে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি বারাণসী এবং প্রয়াগরাজের। বুধবার পর্যন্ত বারাণসীতে সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার বারাণসীর প্লাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শনে যান রাজ্যের মন্ত্রী সুরেশ কুমার।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, বারাণসীর প্লাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন তিনি। সেখানকার লোকজনের কথা বলেছেন। যে ভাবে উদ্ধারকাজ হচ্ছে, তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সকলের উচিত প্রশাসনকে সহযোগিতা করা।’’ সোমবার থেকেই বারাণসীর নিচু এলাকাগুলিতে গঙ্গার জলের স্তর বেড়েছে। আওর বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি যে আরও খারাপ হবে, সেই আতঙ্কেই ভুগছেন স্থানীয়েরা। লাগাতার বৃষ্টির জেরে গঙ্গার জলস্তর বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে বারাণসী এবং প্রয়াগরাজে। এই পরিস্থিতিতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তাই গঙ্গার ঘাটগুলিতে নজরদারি চালানো হচ্ছে। গঙ্গায় ফেরি চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বারাণসীর অলিগলিতে গঙ্গার জল ঢুকে পড়েছে। নমো ঘাট, অস্‌সি ঘাট ডুবে গিয়েছে। বসতি এলাকায় জল ঢুকে পড়ায় নৌকা করে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, গঙ্গা ছাড়াও যমুনা এবং বেতোয়ার মতো নদীগুলি ফুলেফেঁপে উঠেছে। কোথাও কোথাও জলস্তর বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। বারাণসী, প্রয়াগরাজ ছাড়াও মির্জাপুর, গাজ়িপুর, বালিয়া, অরাইয়া, কল্পি, হামিরপুর এবং বান্দায় নদীর জলস্তর বাড়তে থাকায় আতঙ্ক বাড়ছে। কেন্দ্রীয় জল কমিশনের রিপোর্ট বলছে, সোমবার গঙ্গার জলস্তর ছিল ৭২.০৫ মিটার। ঘণ্টায় ০.৫ সেন্টিমিটার করে জলস্তর বাড়ছে। বিপদসীমা হল ৭১.২৬ মিটার। সেই সীমাও ছাড়িয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্লাবিত জেলাগুলিতে নজরদারি এবং ত্রাণকাজ চালানোর জন্য ১১টি দল গঠন করেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজ নিয়ে কোনও রকম গাফিলতি সহ্য করা হবে না। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের সর্ব ক্ষণ সতর্ক থাকতে এবং নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মৌসম ভবন জানিয়েছে, মঙ্গলবারেও ভারী বৃষ্টি হবে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায়। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হতে পারে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই বৃষ্টি এবং বন্যা পরিস্থিতিতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যে জেলাগুলি প্লাবিত হয়েছে সেগুলি হল, কানপুর নগর, লখিমপুর খেড়ি, আগরা, অরাইয়া, চিত্রকূট, বালিয়া, বান্দা, গাজ়িপুর, মির্জাপুর, প্রয়াগরাজ, বারাণসী, চন্দৌলি, জালাউন, কানপুর দেহাত, হামিরপুর, এটাওয়া এবং ফতেপুর।

varanasi Prayagraj
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy