জবলপুরে ফুঁসছে নর্মদা নদী। ছবি পিটিআই।
মধ্যপ্রদেশের ভোপাল, উজ্জয়িনী, জবলপুর-সহ ৩৯টি জেলায় ভারী বৃষ্টির ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার অতিভারী বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে রাজস্থানের কোটাতেও। অন্য দিকে, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের বসতি এলাকায় যখন গঙ্গা-যমুনার উপচে ওঠা জল ঢুকে পড়েছে, ওই রাজ্যেরই বেশ কিছু জেলায় খরার মতো পরিস্থিতি।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব মধ্যপ্রদেশের কাছাকাছি একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। রাজ্যের উত্তর দিক দিয়ে সেটি যেতে যেতে শক্তিক্ষয় করবে। অন্য দিকে, দক্ষিণ ঝাড়খণ্ড ও লাগোয়া ছত্তীসগঢ়ের উপরে থাকা আর একটি গভীর নিম্নচাপ শক্তিক্ষয় করে ঢুকবে উত্তরপূর্ব মধ্যপ্রদেশে। তার জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ভোপালে শুরু হওয়া বৃষ্টি চলতে পারে মঙ্গলবার পর্যন্ত।
গত চব্বিশ ঘণ্টায় রাজস্থানের ঝালাবাড়ে ২৩৪ মিলিমিটার আর কোটায় ২২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। প্রবল বর্ষণের জেরে দু’টি বাঁধ থেকে প্রচুর জল ছাড়তে হয়েছে। কোটা আর ঝালাবাড় জেলায় নিচু এলাকাগুলি জলের তলায়। জলস্তর বাড়তে থাকায় ব্যারাজগুলির আরও গেট খুলতে হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হড়পা বান আর ধসে বিপর্যস্ত হিমাচলপ্রদেশের মান্ডি, কাংড়া এবং চাম্বা জেলা। ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচ জন নিখোঁজ। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরেও বন্যা পরিস্থিতি। একটি চিড়িয়াখানায় জল ঢুকে চিতার মৃত্যুর খবর মিলেছে। ভারী বৃষ্টিতে ওড়িশার বালাসোর ও ময়ূরভঞ্জের নিচু এলাকা থেকে সরানো হচ্ছে বাসিন্দাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy