সাংবাদিককে পুড়িয়ে খুনের মামলায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তার সূত্রে এ দিন কেন্দ্রীয় সরকার এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইল শীর্ষ আদালত।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারের পাশাপাশি বিচারপতি এম ওয়াই ইকবাল এবং বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চ প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার কাছেও এ ব্যাপারে বক্তব্য জানাতে দু’সপ্তাহ সময় দিয়েছে। দিল্লিনিবাসী সাংবাদিক সতীশ জৈন ওই জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। উত্তরপ্রদেশের সাংবাদিক জগেন্দ্র সিংহের হত্যায় সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলেন তিনি।
অভিযোগ, এ মাসের গোড়ায় শাহজাহানপুরের বাসিন্দা জগেন্দ্র সিংহের বাড়িতে তল্লাশির নাম করে ঢুকে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় পুলিশ অফিসারের একটি দল। ওই ঘটনার এক সপ্তাহ পরে হাসপাতালে মারা যান ওই সাংবাদিক। জগেন্দ্রর পুত্র রাঘবেন্দ্রর অভিযোগের ভিত্তিতে সমাজবাদী পার্টির মন্ত্রী রামমূর্তি সিংহ বর্মা এবং পাঁচ জন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আবেদনে বলা হয়েছে, ওই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বেআইনি খনন এবং জমি দখলের অভিযোগ জানিয়ে ফেসবুকে একের পর এক রিপোর্ট পোস্ট করছিলেন জগেন্দ্র। তাতেই খেপে যান রামমূর্তি। জগেন্দ্রকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তা ছাড়া প্রমাণ নষ্টেরও চেষ্টা হচ্ছে। আবেদনে ছোট ছোট শহরে ভারতীয় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গেও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সেখানে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। প্রেস কাউন্সিলের দাবি, আড়াই বছরে এ দেশে ৭৯ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন।
কালই মধ্যপ্রদেশে সন্দীপ কোঠারি নামে এক সাংবাদিককে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, অভিযুক্ত আরও ছ’জনকে গ্রেফতার করা না হলে সন্দীপের শেষকৃত্য করা হবে না।
এ দিনও কাশ্মীরে এক ইংরেজি দৈনিকের সাংবাদিককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে মন্ত্রী গুলাব নবি লোনের নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy