জয়াপ্রদাকে ‘নিখোঁজ’ ঘোষণা করল আদালত। বার বার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও আদালতে হাজিরা ‘এড়িয়ে’ যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ। এমপিএমএলএ স্পেশ্যাল কোর্টের তরফে জানা গিয়েছে, একটি মামলায় নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পর পর দু’বার আদালতে হাজিরা দেননি তিনি। আগামী ৬ মার্চের মধ্যে তাঁর হাজিরা নিশ্চিত করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে ওই বিশেষ আদালত।
এমপিএমএলএ স্পেশ্যাল কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের সময় নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন জয়াপ্রদা। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হলেও আদালতে হাজির হননি তিনি। এমপিএমএলএ স্পেশ্যাল কোর্টের তরফে শোভিত বনসলের নির্দেশে পুলিশকে একটি বিশেষ দল তৈরি করতে বলা হয়। ৬ মার্চের মধ্যে জয়াপ্রদা যেন আদালতে হাজিরা দেন তা নিশ্চিত করতেই এই বিশেষ দল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
নব্বইয়ের দশকে প্রথম রাজনীতিতে পা রাখেন জয়া প্রদা। এনটি রামারাওয়ের আমন্ত্রণে ১৯৯৪ সালে তেলুগু দেশম পার্টিতে (টিডিপি) যোগ দেন। তবে পরবর্তী কালে দল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। যোগ দেন উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টিতে। ২০০৪ সালে রামপুর আসন থেকে জয়াপ্রদাকে প্রার্থী করে সমাজবাদী পার্টি। রামপুর কেন্দ্র থেকেই প্রথম সাংসদ হন জয়াপ্রদা।
২০০৪ এবং ২০০৯ সালে পর পর দু’বার রামপুর থেকে জয়ী হন তিনি। কিন্তু পরের বছর ২০১০ সালে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ তুলে তাঁকে বহিষ্কার করে এসপি। ২০১৪ সালে অজিত সিংহর রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি)-এর টিকিটে বিজনৌর কেন্দ্র থেকে দাঁড়ালেও হেরে যান জয়াপ্রদা। তার পর বিজেপিতে যোগ দিয়ে লোকসভা ভোটে ফের রামপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন তিনি।