সুথেন্দ্ররাজা টি ওরফে সন্থান এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। —ফাইল চিত্র ।
মৃত্যু হল রাজীব গান্ধীর হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত সুথেন্দ্ররাজা টি ওরফে সন্থানের। বুধবার দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীবের নামাঙ্কিত চেন্নাইয়ের এক সরকারি হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সন্থান শ্রীলঙ্কার বাসিন্দা ছিলেন। লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (এলটিটিই)-এর সদস্য ছিলেন তিনি। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
৩১ বছর জেলবন্দি থাকার পর ২০২২ সালের নভেম্বরে সন্থানকে মুক্তি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার পর থেকে তামিলনাড়ুর ত্রিচি কেন্দ্রীয় কারাগার ক্যাম্পাসের ভিতরে বিশেষ ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল তাঁকে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই তাঁকে শ্রীলঙ্কায় পাঠানোর কথা ছিল। তবে জানুয়ারি মাসে শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাঁকে রাজীব গান্ধী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সেখানেই বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। চিকিৎসকেরা এ-ও জানিয়েছেন যে, যকৃতের রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। তাঁকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখন তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। পেটের মধ্যে তরল পদার্থ জমে গিয়েছিল এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ফুলে গিয়েছিল।
১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে এক নির্বাচনী জনসভায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব। ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন সন্থান, এজি পেরারিভালন, নলিনী শ্রীহরণ-সহ সাত জন। রাজীব হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর প্রায় তিন দশক ধরে জেলে ছিলেন সন্থান। প্রথমে সন্থানদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হলেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর তাঁদের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর পর ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর মুক্তি পান সন্থান।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত্যুর আগে বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন সন্থান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy