অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছিলেন দিনকয়েক আগেই। এ বার আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি ছেড়ে অসম জাতীয় পরিষদে (এজেপি) যোগ দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজেন গোহাঁই।
১৯৯৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মোট চার বার নগাঁও লোকসভা আসনের সাংসদ ছিলেন রাজেন। প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীর প্রথম মেয়াদে রাজেন ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। গত লোকসভা ভোটে তাঁকে টিকিট না দিয়ে নগাঁওয়ে সুরেশ বরাকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু কংগ্রেসের কাছে তিনি হেরে যান।
আগামী এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরির সঙ্গে অসমেও বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। অসম জাতীয় পরিষদের টিকিটে নগাঁও থেকে রাজেন ভোটে লড়তে পারেন বলে জল্পনা। রাজেন বুধবার বলেন, ‘‘অসমের জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। রাজ্যে বহিরাগতদের বসতি স্থাপনের অনুমতি দিয়ে ভূমিপুত্রদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে।’’ হিমন্ত-সহ বিজেপি নেতারা ধর্মীয় মেরুকরণ করে অসমিয়া সম্প্রদায়কে বিভক্ত করতে চাইছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন:
অসমিয়া ছাত্র সংগঠন আসুর সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ২০১৯ সালে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লুরিনজ্যোতি গগৈ। তা থেকেই অসম জাতীয় পরিষদের জন্ম। পরবর্তী সময়ে বিজেপির সহযোগী অসম গণ পরিষদের (অগপ) প্রভাবশালী নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী জগদীশ ভুইয়াঁ ওই দলে যোগ দেন। এ বার যোগ দিলেন বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজেন। গত লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’য় যোগ দিয়েছিল অসম জাতীয় পরিষদ। কংগ্রেসের সমর্থনে ডিব্রুগড় কেন্দ্রে লড়েছিলেন লুরিনজ্যোতি। কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী সর্বানন্দ সোণোয়ালের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। সিএএ-তে বাংলাদেশ থেকে আগত অমুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও লুরিনজ্যোতির দল তার বিরোধী।