গত এক মাসে দিল্লি এনসিআর এলাকার অধিকাংশ বাড়ির অন্তত এক জন বিষাক্ত বাতাসে অসুস্থ হয়েছেন বলে বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লির বায়ুদূষণ ‘প্রাণঘাতী’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই আবহে রাষ্ট্রপুঞ্জের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সম্মেলনে ভারত বলল, দূষণ কমাতে তহবিলে বেশি টাকা দরকার। অথচ সরকারের দেওয়া তথ্য বলছে, গত দশ বছরে এই খাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কমেছে!
ব্রাজ়িলের বেলেমে চলা জলবায়ু সম্মেলন কপ৩০-এ কয়লা, তেল ও জ্বালানি গ্যাসের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করার জন্য সর্বজনীন পরিকল্পনার বিরোধিতা করে পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব বলেছেন, দরিদ্র এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিতে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য ভর্তুকি-যুক্ত গ্যাস বা কেরোসিন অপরিহার্য। জলবায়ু রক্ষা সংক্রান্ত যে পরিকল্পনা পাঁচ বছর অন্তর নতুন করে জমা দিতে হয়, ১৯৬টি সদস্য দেশের মধ্যে ১২০টি দেশ তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দেয়নি। ভারতও আছে সেই তালিকায়। পরিবেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারত সামগ্রিক বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর অন্তত অর্ধেক অংশে জীবাশ্ম জ্বালানির নির্ভরতা কাটিয়ে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের নির্ধারিত সময়সীমার অনেক আগেই পূরণ করছে। সুতরাং উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রার জন্য এখনই ভারতকে চাপ দেওয়া ঠিক নয়। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে সেটি জমা দেওয়া হতে পারে।
ভারতের যুক্তি, জলবায়ু বদলের সঙ্গে মানিয়ে চলা ও মোকাবিলা করার জন্য উন্নত দেশগুলির কাছে থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলির আরও আর্থিক সহায়তা পাওয়া দরকার। অথচ ক্রমশ তা কমছে। এখন যেটা মেলে, তার অন্তত ১৫ গুণ বেশি দরকার বলে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সমস্ত দেশের মানুষ বিশ্ব উষ্ণায়নে সব চেয়ে কম মাত্রায় যোগ দিয়ে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো উন্নত দেশগুলির ‘কার্বন বর্ডার অ্যাডজাস্টমেন্ট মেকানিজ়মের’ মতো একতরফা বাণিজ্য নীতির বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে ভারত।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)