কাশ্মীরে খাস শ্রীনগরের হায়দরপোরায় সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ জনে। নিহতদের মধ্যে দু’জন ব্যবসায়ী। তাঁদের পরিবারের দাবি, এক জনকে ‘মানব ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করেছে বাহিনী। অন্য জনকে হত্যা করা হয়েছে ‘ভুয়ো’ সংঘর্ষে।
গত কাল সন্ধ্যায় হায়দরপোরায় একটি বাণিজ্যিক ভবনে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বাহিনীর। আজ সকালে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার জানান, সংঘর্ষে চার জন নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি জঙ্গি হায়দর ও তার এক স্থানীয় সঙ্গী আমির মাগরে। মাগরে বানিহালের বাসিন্দা। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। বিজয় কুমার জানান, নিহত বাকি দু’জনের নাম আলতাফ বাট ও মুদাসির গুল। তাঁদের মধ্যে আলতাফ ওই বাণিজ্যিক ভবনের মালিক। তাঁরও ওই ভবনে একটি অফিস ছিল। মুদাসির গুল দন্তচিকিৎসক ও ব্যবসায়ী। হায়দরপোরার ওই ভবনে তাঁর একটি কম্পিউটার সেন্টার ছিল। বিজয় কুমারের দাবি, মুদাসির গুল জঙ্গিদের সহযোগী। তিনিই হায়দর ও তার সঙ্গীকে আশ্রয় দিতে আলতাফের বাণিজ্যিক ভবনে একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছিলেন। উত্তর ও দক্ষিণ কাশ্মীর থেকে জঙ্গিদের যাতায়াতের ব্যবস্থাও করতেন।
বিজয়ের বক্তব্য, ‘‘গত রবিবার শ্রীনগরের জামলতা এলাকায় গুলিতে আহত হন এক কনস্টেবল। সেই ঘটনায় হায়দর জড়িত। মুদাসির হায়দরকে সেখান থেকে হায়দরপোরায় নিয়ে আসার কাজেও জড়িত থাকতে পারেন।’’ বিজয়ের দাবি, আলতাফ বাট দু’পক্ষের গুলি যুদ্ধের মধ্যে পড়ে নিহত হয়েছেন। তিনি জঙ্গিদের গুলি না বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। তাঁর কথায়, ‘‘হায়দরপোরার ওই ডেরায় বসে জঙ্গিরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছিল। তাদের কাছ থেকে পিস্তল ও ম্যাগাজ়িন ছাড়াও কম্পিউটার ও মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। ডিআইজি স্তরের এক অফিসারের নেতৃত্বে গঠিত একটি দল এই হাই-টেক জঙ্গি ডেরার নানা দিক নিয়ে তদন্ত করবে।’’ আইন-শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় নিহতদের দেহ এখনও পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি।