ছবি: ইসরো।
চাঁদের উত্তর মেরুর কাছে আমেরিকার পাঠানোর যানের সঙ্গে সংঘর্ষের হাত থেকে বাঁচল ভারতের পাঠানো চন্দ্রযান-২। শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ভাবে ওই সংঘর্ষ রুখে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করল ইসরো। ঘটনাটি গত মাসের হলেও সোমবার তা প্রকাশ্যে এনেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
ইসরো জানিয়েছে, গত ২০ অক্টোবর ভারতীয় সময় সকাল ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারত। দুই দেশের মহাকাশ যানের মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ব যেখানে তিন কিলোমিটার হওয়া উচিত ছিল, সেখানে তা কমতে কমতে ১০০ মিটারেরও কম হয়ে গিয়েছিল।
গোটা সময় জুড়েই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগে ছিল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও ভারতের ইসরো। শেষমেশ ঠিক হয়, চন্দ্রযান ২-এর অরবিটার আর নাসার ‘লুনার রিকনিস্যান্স অরবিটার’-এর মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ড্যান্স ম্যানিউভর’ (ক্যাম) পদ্ধতি প্রয়োগ করবে ইসরো।
গত ২২ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপণ করেছিল ইসরো। তার তিনটি অংশ ছিল—অরবিটার, ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান। ২ সেপ্টেম্বর অরবিটার থেকে বিক্রম বিচ্ছিন্ন হয়। তার শরীরের ভিতরে ছিল প্রজ্ঞান। ৬ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিক্রমের পালকের মতো অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত হয়নি। অবতরণের শেষ ধাপে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না-পেরে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বিক্রম। ভারতের এই অভিযানের মূল অংশই হল চন্দ্রযানের অরবিটারটি। আমেরিকার যানের সঙ্গে তার সংঘর্ষ হলে ভবিষ্যতের গবেষণা বড় ক্ষতি হতে পারত বলেই দাবি বিজ্ঞানী মহলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy