Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Narendra Modi

IAF: চিনের মোকাবিলাতেও তৈরি থাকবে মোদীর উদ্বোধন করা এই এক্সপ্রেসওয়ে! কী ভাবে

সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিসের পাশাপাশি যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের কুরেভার রানওয়ে থেকে উড়তে পারবে মিরাজ-২০০০, সুখোই-৩০-এর মতো যুদ্ধবিমান।

কুরেভর এয়ারস্ট্রিপে হারকিউলিস সওয়ার মোদী।

কুরেভর এয়ারস্ট্রিপে হারকিউলিস সওয়ার মোদী। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

সংবাদ সংস্থা
সুলতানপুর শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২১ ১৫:৪৮
Share: Save:

শুধু উন্নয়নের সূচনা নয়, ভবিষ্যতের যুদ্ধেরও প্রস্তুতি! মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশে পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী দিনে সম্ভাব্য চিনা আগ্রাসন প্রতিরোধে ভারতীয় বায়ুসেনার আয়োজনও দেখে নিলেন।

উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের সঙ্গে সে রাজ্যের আটটি জেলাকে সংযুক্ত করা পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের উপর সুলতানপুর জেলার কুরেভারে রয়েছে ৩.৩ কিলোমিটারের ‘এক ফালি’ রানওয়ে। মঙ্গলবার সেখানেই মোদীকে নিয়ে অবতরণ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনার দ্বিতীয় বৃহত্তম পরিবহণ বিমান ‘সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস’।

যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দুর্গম এলাকার ছোট এয়ারস্ট্রিপে সেনা, রসদ এবং অস্ত্রশস্ত্র পৌঁছে দিতে জুড়ি নেই আমেরিকায় তৈরি হারকিউলিসের। চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় উত্তর লাদাখের দৌলত বেগ ওল্ডি বায়ুসেনা ঘাঁটিতে এই বিমান চলাচলের পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে সেনা। কয়েক বছর আগে লখনউ-আগরা এক্সপ্রেসওয়ের একাংশেও পরীক্ষামূলক অবতরণ হয়েছে এই বিমানের।

সেনা সূত্রের খবর, সামরিক অবস্থানগত দিক থেকে কুরেভর ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে একই সঙ্গে উত্তরাখণ্ড এবং সিকিমের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-য় সেনা এবং সরঞ্জাম পাঠানো যাবে এখান থেকে। পাশাপাশি, এই রানওয়ে থেকে উড়তে পারবে মিরাজ-২০০০, সুখোই-৩০-এর মতো যুদ্ধবিমান। মঙ্গলবার মোদীর উপস্থিতিতে ‘এয়ার শো’-তে তার এক দফা মহড়াও হয়েছে। অতীতে লখনউ-আগরা এক্সপ্রেসওয়েতেও যুদ্ধবিমানের উড়ান এবং অবতরণের পরীক্ষা করেছে বায়ুসেনা।

ভারতীয় বায়ুসেনার এক আধিকারিক মঙ্গলবার বলেন, ‘‘যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে শত্রুদেশের প্রাথমিক নিশানায় থাকে বিমানঘাঁটিগুলি। বোমা ফেলে সেগুলি অচল করে দিতে পারলে বিমান ওঠা-নামা কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধে এর কয়েকটি উদাহরণও রয়েছে। ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি এড়াতেই এক্সপ্রেসওয়েগুলির কিছু অংশ বেছে নিয়ে ‘এয়ারস্ট্রিপ’ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে জ্বালানি ভরা, রেডার যোগাযোগের পরিকাঠামো গড়ার পাশাপাশি যুদ্ধবিমানে ব্যবহারের উপযোগী অস্ত্রের মজুতও রাখা হবে।’’

তিনি জানান, কুরেভার এয়ারস্ট্রিপের কাছাকাছি রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার কানপুর, বরেলী এবং গোরক্ষপুর বিমানঘাঁটি। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সেখান থেকে বিমান সরিয়ে আনা যাবে সুলতানপুরের এই এক্সপ্রেসওয়েতে। নির্মীয়মাণ বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ে এবং গোরক্ষপুর এক্সপ্রেসওয়েতেও ভবিষ্যতে এমন রানওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বায়ুসেনার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE