প্রতীকী ছবি।
তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমর থেকে সিরিয়ার আল কায়দা প্রধান সেলিম আবু আহমেদ। গত দু’দশকে আমেরিকার প্রিডেটর ড্রোনের ‘শিকারের’ তালিকায় রয়েছে এমন অনেক নামই। এ বার সেই হানাদার ড্রোন আসতে চলেছে ভারতের হাতে।
সোমবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সামরিক সরঞ্জাম কেনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির বৈঠকে ২১ হাজার কোটি টাকায় আমেরিকা থেকে ৩০টি প্রিডেটর ড্রোন কেনার বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির ছাড়পত্র পেলেই এ সংক্রান্ত সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমেরিকায় জেনারেল অ্যাটোমিক্স-এর তৈরি এই ড্রোনের পোশাকি নাম এমকিউ-৯বি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ভারতীয় স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনার জন্য কেনা হবে প্রিডেটরের ‘এমকিউ-৯বি’-র ‘সি গার্ডিয়ান’ এবং ‘স্কাই গার্ডিয়ান’ সংস্করণ। সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখা পাবে ১০টি করে ড্রোন। সম্প্রতি আমেরিকা সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৈঠক করেছিলেন জেনারেল অ্যাটোমিক্সের সিইও বিবেক লালের সঙ্গে। সেখানেই অনেক উঁচুতে দীর্ঘক্ষণ ওড়ার ক্ষমতা সম্পন্ন প্রিডেটর কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল বলে ওই সূত্রের খবর।
কয়েক মাস আগেই ইজরায়েল থেকে মাঝারি উচ্চতার ওড়ার উপযোগী হানাদার ড্রোন ‘হেরন টিপি’ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আধুনিক উপগ্রহ-যোগাযোগ এবং সেন্সর যুক্ত এই চালকহীন বিমানে ‘আকাশ থেকে ভূমি’তে ছোড়ার উপযোগী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা যাবে। বসানো যাবে লেজার-নিয়ন্ত্রিত নিশানা করার সরঞ্জামও।
প্রিডেটর ড্রোনের সাহায্যে ভবিষ্যতে অনায়াসেই বালাকোটের মতো অভিযান চালাতে পারবে ভারত। সে ক্ষেত্রে যুদ্ধবিমান চালকের প্রাণহানি বা ধরা পড়ার মতো ঝুঁকিও এড়ানো যাবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়ার বালাকোটের জঙ্গি শিবিরে হামলা চালাতে ফরাসি মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy