Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Maharashtra

আবার ছেলেধরা সন্দেহে মারধর চার সাধুকে, ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে উত্তেজনা মহারাষ্ট্রে

ছেলেধরা সন্দেহে চার সাধুকে মারধরের অভিযোগ উঠল মহারাষ্ট্রে। মঙ্গলবার সাংলি জেলায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। চার জন সাধুকে শারীরিক নিগ্রহ করার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।

লাঠি হাতে বেশ কয়েক জন স্থানীয় মানুষ ওই সাধুদের মারধর করছেন।

লাঠি হাতে বেশ কয়েক জন স্থানীয় মানুষ ওই সাধুদের মারধর করছেন। ছবি: টুইটার।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:২২
Share: Save:

ছেলেধরা সন্দেহে চার জন সাধুকে মারধরের অভিযোগ উঠল মহারাষ্ট্রে। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার লাভানা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। চার জন সাধুকে শারীরিক নিগ্রহ করার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, একটি মুদি দোকানের বাইরে লাঠি হাতে বেশ কয়েক জন স্থানীয় মানুষ ওই সাধুদের মারধর করছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ পাননি।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাংলির পুলিশ সুপার দীক্ষিত গেদাম জানিয়েছেন, ‘‘আমরা কোনও অভিযোগ পাইনি। তবে ভাইরাল ভিডিয়োগুলি খতিয়ে দেখে সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়ক রাম কদম এই ঘটনার নিন্দা করে জানান, মহারাষ্ট্র সরকার সাধুদের সঙ্গে এই ধরনের দুর্ব্যবহার সহ্য করবে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও এক ভিডিয়ো বার্তায় জানান রাম।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২০ সালের ১৬ এপ্রিল মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার গাদচিনচালে গ্রামে দুই সাধু এবং তাঁদের গাড়িচালককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই এলাকায় গুজব ছড়ায় অঙ্গ পাচারের উদ্দেশ্যে বাচ্চাদের চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এই সময়ে ওই সাধুদের গাড়ি গ্রামে এসে উপস্থিত হলে তাঁদের ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। এর ঘটনা নিয়ে ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার পুলিশ সদস্য ও এক জন সিনিয়র পুলিশকর্তা আহত হয়েছিলেন। এই ঘটনায় ‌মোট ১১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

maharashtra Sadhus beaten assaulted
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE