বৃহস্পতিবার কাকার বাড়ি থেকে ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
স্কুলে গেলেই তাকে বন্ধুদের কাছে থেকে শুনতে হত ‘শেম…শেম’। বন্ধুদের কাছ থেকে এ ধরনের কটাক্ষ শুনে ক্রমেই নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছিল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রটি। মনমরা হয়ে বাড়ি ফিরত। কাউকে কিছু বলতও না সে। বৃহস্পতিবার কাকার বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। তাতে লেখা ছিল, ‘কাকু-কাকিমা, আমাকে মাফ কোরো। বাবার খেয়াল রেখো। বাবা-মা, আমাকে মাফ কোরো। কেউ ভুল করলে তাকে অন্তত এক বার শুধরানোর সুযোগ দেওয়া উচিত। নিজের ভুলের জন্য আমি কাঁদছি। স্কুলে বন্ধুদের কাছেও যেতে পারছি না। লজ্জাবোধ হচ্ছে। সকলে আমাকে দেখে শেম…শেম বলছিল। আর সহ্য করতে পারছি না।’
যশ মৌর্য। উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীর বাসিন্দা। পড়াশোনার জন্য যশ এবং তার বোনকে ৪০ কিলোমিটার দূরে কাকার কাছে পাঠিয়েছিলেন বাবা-মা। পাঁচ বছর ধরে কাকার বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করছিল যশ। বৃহস্পতিবার ছিল স্কুলের পরীক্ষা। স্কুলবাসে করে পরীক্ষাও দিতে গিয়েছিল সে। কিন্তু পরীক্ষার হল থেকে বেরোতেই তাকে মনমরা দেখাচ্ছিল। এমনটাই জানিয়েছে যশের বোন। বাসেও চুপচাপ বসে ছিল। তার পর বাড়িতে গিয়ে সোজা উপরে নিজের ঘরে চলে যায় যশ। পরে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে বাড়ির লোকেরা।
পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে শিক্ষকের হাতে ধরা পড়ে গিয়েছিল যশ। এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, ধরা পড়ার পর যশকে ক্লাসেই শাস্তি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার পর তাকে অধ্যক্ষের ঘরেও নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, শিক্ষকের এই অত্যাচার সহ্য করতে পারেনি যশ। তাই অভিমানে চরম পথ বেছে নিয়েছে সে। যশের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি এফআইআর দায়ের করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy