তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে মূল্যবৃদ্ধি লাগামছাড়া হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একই ভাবে ইউক্রেনের যুদ্ধের ধাক্কায় আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস ও বাজেটের অঙ্কও গোলমাল হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
নির্মলা সীতারামন। ফাইল চিত্র।
বাজেটের অঙ্ক কষার সময় ওমিক্রনের ধাক্কা হিসাবের মধ্যে ছিল না। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ, তার ফলে তেলের দামে বৃদ্ধি নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে বলে আজ মেনে নিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। পেট্রল-ডিজেলের নিয়মিত দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে আজ ফের অর্থমন্ত্রী ইউক্রেনের যুদ্ধকেই দায়ী করেছেন।
বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, উত্তরপ্রদেশের ভোটের জন্য প্রায় চার মাস তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। এখন লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে। এই অভিযোগকেও ‘অসত্য’ বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী। রাজ্যসভায় অর্থ বিল নিয়ে বিতর্কের জবাবে নির্মলা জানান, গত দু’সপ্তাহ ধরে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে টালমাটাল পরিস্থিতির জেরেই তেলের দাম বাড়ছে। বিরোধীদের অভিযোগের জবাবে সীতারামন বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক স্তরে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি চলছে। বলা হয়েছে, যুদ্ধ তো অনেকদিন আগেই শুরু হয়েছে, তখন দাম বাড়ানো হয়নি। এখন দাম বাড়ানো হচ্ছে। এটা একেবারেই অসত্য। টালমাটাল পরিস্থিতি, তার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়া, একই সঙ্গে জোগান ব্যবস্থায় বাধা, সবই গত দু’সপ্তাহ ধরে চলছে। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে হচ্ছে।’’
তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে মূল্যবৃদ্ধি লাগামছাড়া হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একই ভাবে ইউক্রেনের যুদ্ধের ধাক্কায় আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস ও বাজেটের অঙ্কও গোলমাল হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। নির্মলা আজ ব্যাখ্যা দিয়েছেন, আর্থিক বৃদ্ধি সম্পর্কে এমনিতেই রক্ষণশীল অনুমান নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি মেনে নিয়েছেন, ওমিক্রনের ধাক্কার আগেই আর্থিক বৃদ্ধি সম্পর্কে পরিসংখ্যান দফতর প্রাথমিক পূর্বাভাস করেছিল। সেই অনুযায়ীই বাজেটের অঙ্ক কষা হয়েছিল। তার পরে তেলের দামে বৃদ্ধি নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। অর্থমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন, পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধির চড়া হার যথেষ্ট চিন্তার কারণ। তবে নতুন অর্থ বছরে তা ধাপে ধাপে কমবে বলে সরকার আশাবাদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy