শহিদের স্মৃতিতে সরকারি জমিতে সৌধ তৈরি করিয়েছিলেন বাবা। সেই নিয়েই ঝামেলা। ছবি: সংগৃহীত।
ছেলে জয়কিশোর সিংহ গালওয়ানের সংঘর্ষে শহিদ হয়েছিলেন। তাঁর স্মৃতিতে সরকারি জমিতে সৌধ তৈরি করিয়েছিলেন বাবা। অভিযোগ, সে কারণে তাঁকে মারধর করেছে পুলিশ। গ্রেফতারও করে নিয়ে গিয়েছে। বিহারের বৈশালীর ঘটনা।
জয়কিশোরের ভাইও সশস্ত্র বাহিনীতে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ডিএসপি ম্যাডাম আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি ১৫ দিনের মধ্যে শহিদের মূর্তি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। পরে থানার ইন-চার্জ এসে আমার বাবাকে মারধর করেন। তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান। আমিও এক জন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য।’’
মহুয়া জেলার সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) পুনম কেশরী জানিয়েছেন, স্মৃতিসৌধ ঘিরতে একটি দেওয়াল তৈরি করা হয়েছিল। তার ফলে স্থানীয় এক জমি মালিকের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘’২৩ জানুয়ারি তফসিলি জাতি, জনজাতি আইনের ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তাতে বলা হয়েছিল, জান্ডাহাতে সরকার এবং হরি নাথ রামের জমিতে একটি মূর্তি তৈরি করা হয়েছিল। পরে তার চারপাশে প্রাচীর দেওয়া হয়েছিল। বৈআইনি ভাবে সৌধ তৈরির জন্য জমি মালিকের অধিকার ভঙ্গ হয়েছে।’’
এসডিপিও আরও বলেন, ‘‘যে জমিতে শহিদের মূর্তি তৈরি হয়েছিল, সেটি আসলে সরকারের। ওই সৌধ যে জমিতে রয়েছে, সেখান দিয়ে একটি রাস্তা গিয়েছে। সেই রাস্তার কাছেই অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তের বাড়ি। কোনও অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল সৌধ। ফলে অভিযোগকারীর অধিকার ভঙ্গ হয়েছে।’’ এসডিপিও প্রশ্ন তুলেছেন যে, শহিদের বাবা নিজের জমিতে কেন সৌধ তৈরি করলেন না। তাঁর কথায়, ‘‘শহিদের বাবার যথেষ্ট জমি রয়েছে। সেই জমিতেই সৌধ তৈরি করতে পারতেন তিনি। বা সরকারের থেকে জমি কিনতে পারতেন!’’
রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে শহিদের বাড়িতে যান জান্ডাহা থানার প্রধান বিশ্বনাথ রাম। অভিযোগ, সেখানে মারধর করেন শহিদের বাবাকে। তার পর গ্রেফতার করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy