ফাইল চিত্র।
করোনার সময় বেআইনি ভাবে ওষুধ মজুত করেছিল প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরের সংস্থা। হাইকোর্টে এমনটাই জানাল দিল্লির ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড। তাদের অভিযোগ, বেআইনি ভাবে ফ্যাবিফ্লু এবং মেডিক্যাল অক্সিজেন কিনে তা মজুত এবং সরবরাহ করেছে গম্ভীরের সংস্থা।
বৃহস্পতিবার আদালতের কাছে তারা যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে তারা জানিয়েছে, গম্ভীরের সংস্থার কোনও ড্রাগ লাইসেন্স নেই। তাঁর সংস্থা ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স অ্যাক্ট ১৯৪০-কে অমান্য করেছে। যা ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭ বি ৩, এবং ২৭ ডি ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। গম্ভীরের সংস্থার বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলেও আদালতে জানিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল।
কেন ঠিকমতো তদন্ত না করেই গম্ভীরকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে, গত সপ্তাহেই ড্রাগ কন্ট্রোলকে এ নিয়ে ভর্ৎসনা করে আদালত। ঠিক মতো তদন্ত করে সোমবারের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয় ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরকে। সেই রিপোর্টই বৃহস্পতিবার পেশ করেছে তারা। একই সঙ্গে বিধায়ক প্রবীণ কুমারের বিরুদ্ধেও ড্রাগ এবং কসমেটিক্স আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও আদালতে জানিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল।
এই মামলায় কতটা অগ্রগতি হল তা জানানোর জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলকে ৬ সপ্তাহ সময় দিয়েছে আদালত। মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে ওই সময়ের মধ্যে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ২৯ জুলাই।
অক্সিজেন এবং প্রতিষেধকে ঘাটতির জেরে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে যখন হিমশিম খাচ্ছে রাজধানী দিল্লি, এমন পরিস্থিতিতে বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে ফ্লু প্রতিরোধী ‘ফ্যাবিফ্লু’ ওষুধ মজুত করে রাখার অভিযোগ ওঠে। মৃদু উপসর্গের করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ‘ফ্যাবিফ্লু’ ব্যবহৃত হয়। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে সেই ওষুধই বিনামূল্যে বিতরণের কথা ঘোষণা করেছেন গম্ভীর। তাতেই বিতর্ক শুরু হয়। মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy