Advertisement
E-Paper

ছ’বার বললেন ‘বঙ্গাল কি অন্দর’

উঠল ততোধিক গর্জন। উল্লাসে ফেটে পড়লেন উপস্থিত সমর্থকেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৯ ০৪:৩১

সিকিমের পবন চামলিং ও অরুণাচল প্রদেশের পেমা খান্ডুকে অভিনন্দন জানানোর পরে তুললেন বড় বিজয়ের প্রসঙ্গ। জয়ের মঞ্চে অমিত শাহ বললেন, ‘‘বাঙ্গাল কে অন্দর..!’’

এটুকু বলতেই বিজেপি সদর দফতরের সামনে গর্জে উঠল জনতা।

বিজেপি সভাপতি ফের বললেন, ‘‘বাঙ্গাল কে অন্দর...!’’

উঠল ততোধিক গর্জন। উল্লাসে ফেটে পড়লেন উপস্থিত সমর্থকেরা।

টানা ছ’বার ওই শব্দবন্ধ বলার পরেও বিজেপি সভাপতি বাকি কথাটা বলে উঠতে পারছিলেন না জনতার গর্জনে। কিংবা শেষ করছিলেন না ইচ্ছে করেই। যে কারণে, ‘বাঙ্গাল কে অন্দর’-এর পরের অংশটা ঝুলিয়ে রেখেই বিজেপি সভাপতি ডাক দিলেন, ‘‘বোলো, ভারত মাতা কি...।’’ জনতা গর্জন তুলল ‘‘জয়।’’

হাওয়া গরম করে নিয়ে অমিত শাহ এ বার পাড়লেন আসল কথাটা, ‘‘এত অত্যাচার, জুলুম ঔর রিগিংয়ের পরেও (বাঙ্গালকে অন্দর) ১৮ আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি জিতেছে। এমনকি পাঁচটা বিধানসভা আসনের মধ্যে চারটেই ছিনিয়ে নিয়েছে।’’

উল্লাস আর হর্ষধ্বনি তখন তুঙ্গে। এটাই তো চাইছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে টক্করকে বিজেপি কতটা মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখছিল, সেটাই আজ বুঝিয়ে দিলেন অমিত। জয়ের মঞ্চ থেকে বাংলায় এই জয়ের তাৎপর্যও ব্যাখ্যা করলেন তিনি। স্পষ্ট করে দিলেন, দলের আগামী নিশানাই হল পশ্চিমবঙ্গ। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে হটিয়ে এখন ক্ষমতা দখলই পাখির চোখ নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের। অমিতের কথায়, ‘‘আজকের জয় এটাই বলছে যে, আগামী দিনে পুরো পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি তার অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করবে।’’

নরেন্দ্র মোদীও প্রথমেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত বিজেপি কর্মীদের শ্রদ্ধা জানান। নির্বাচনী প্রচারে তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে পারস্পরিক আক্রমণ, প্রতি-আক্রমণ হলেও, ভোটের পরে গণতন্ত্রে সেই তিক্ততার স্থান নেই বলে দাবি করেন মোদী।

Election Results 2019 Amit Shah
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy