পদত্যাগ করলেন উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বর। ছবি: পিটিআই।
গেরুয়া ঝড়ের দাপটে শক্তিহীন শতাব্দীপ্রাচীন কংগ্রেস দল। ক্ষমতা দখলের দৌড়ে থাকা তো দূরের কথা, আসন সংখ্যার নিরিখে তিন অঙ্কেও পৌঁছতে পারেনি তারা। গাঁধী পরিবারের খাসতালুক বলে পরিচিত অমেঠীতে হেরেছেন খোদ কংগ্রেস সভাপতি নিজেই। টালমাটাল এই পরিস্থিতিতে আগামী কাল নয়াদিল্লিতে বসছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। দলের এই শোচনীয় হারের দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করতে পারেন রাহুল, থাকছে সেই সম্ভাবনাও। যদিও তার আগেই কংগ্রেস জুড়ে শুরু হয়ে গেল পদত্যাগের হিড়িক।
কংগ্রেসের কাছে হারের ধাক্কা সব থেকে বেশি বোধ হয় উত্তরপ্রদেশেই। ৮০ আসনের এই রাজ্যে কংগ্রেস দখলে রাখতে পেরেছে সাকুল্যে একটি আসন। এক সময় উত্তরপ্রদেশে রাজত্ব করা কংগ্রেস টিমটিম করে জ্বলছে শুধু গাঁধী পরিবারের আরেক খাসতালুক, সনিয়া গাঁধীর কেন্দ্র, রায়বরেলীতে। পরাজয়ের সেই দায় মাথায় নিয়ে আগামিকাল কংগ্রেসের শীর্ষ বৈঠকের আগেই পদত্যাগের চিঠি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বর। তিনি নিজেও বিজেপির কাছে বিপুল ভোটে হেরেছেন উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুর সিক্রি কেন্দ্র থেকে। টুইট করে তিনি বলেছেন, ‘উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের এই ফল অত্যন্ত হতাশাজনক। আমি সঠিক ভাবে আমার দায়িত্ব পালন করতে পারিনি। দলীয় নেতৃত্বকে আমি আমার বক্তব্য জানাবো।’
শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, কর্নাটক এবং ওড়িশা থেকেও কার্যত মুছে গিয়েছে কংগ্রেস। ওড়িশার বিধানসভা বা লোকসভা, কোনও নির্বাচনেই দাগ কাটতে পারেনি তারা। সেই দায় মাথায় নিয়ে ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন ওড়িশার কংগ্রেস সভাপতি নিরঞ্জন পট্টনায়ক। পদত্যাগ করেছেন কর্নাটকে দলের প্রচারের দায়িত্ব থাকা এইচ কে পাটিলও।
আরও পড়ুন: সকালেই আডবাণী, জোশীর বাড়িতে মোদী, বললেন, ‘আপনাদের জন্যই সাফল্য’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy