এক দিকে, কাজিরাঙা বর্জনের ডাক দিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন। অন্য দিকে, সাংবাদিক সম্মেলন করে কাজিরাঙায় বনরক্ষীদের যথেচ্ছাচার চালানোর অভিযোগ তুলে সরব হলেন জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা। দু’য়ের পিছনেই রয়েছে বিবিসির সেই তথ্যচিত্র। যার জেরে ভারতের ব্যাঘ্র প্রকল্পগুলিতে বিবিসি ও তাদের সাংবাদিক জাস্টিন রাওলাটকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (এনটিসিএ)।
ওই তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছিল, কাজিরাঙায় দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বনরক্ষীদের। যার ফলে শিশুরাও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। নিরীহদের প্রাণ যাচ্ছে। গন্ডারের চেয়ে বেশি মরছে মানুষ। অথচ বাস্তবে তেমন নির্দেশ নেই। কাজিরাঙার অধিকর্তা সত্যেন্দ্রনারায়ণ সিংহ ও বনমন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম জানান, বিশেষ উদ্দেশে বাইরের কোনও সংগঠনের প্ররোচনায় কাজিরাঙাকে খাটো করতেই তৈরি হয়েছে ওই তথ্যচিত্র। পরে ভারত সরকার ও এনটিসিএ ওই চ্যানেলকে নিষিদ্ধ করলেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাজিরাঙার নাম যা ডোবার ডুবেছে।
রাজ্য পর্যটনের দূত প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে গন্ডারের ছবি-সহ অসম পর্যটনের প্রথম পোস্টার যখন প্রকাশ হয়েছে, ঠিক তখনই আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘সারভাইভাল ইন্টারন্যাশনাল’ বিশ্বের পর্যটকদের কাছে কাজিরাঙা বর্জনের জন্য আহ্বান জানাল। কাজিরাঙায় দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ নেই বলে রাজ্য জানালেও, তা মানতে নারাজ ওই সংগঠনের দাবি ‘ট্রিগার হ্যাপি’ বনরক্ষীদের জন্যই আকাশ ওরাং নামে বালকটি পঙ্গু হয়েছে। তাদের বক্তব্য, গন্ডার বাঁচানোর নামে মানুষ খুন মানা যায় না।