প্রতীকী ছবি।
উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে মুসলিম বৃদ্ধকে নিগ্রহের ঘটনায় এ বার উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লি পুলিশের নিশানায় টুইটার। টুইটার ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মণীশ মাহেশ্বরীকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে দিল্লি-উত্তপ্রদেশ সীমানার লোনি বর্ডার থানায় হাজির হয়ে বয়ান দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে। নেটমাধ্যমে ওই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ক্লিপ (আনন্দবাজার অনলাইন ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি) ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক রং চড়ানোর চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে নোটিস পাঠিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
টুইটারের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভাঙা, গোষ্ঠী হিংসায় উস্কানি এবং ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ এনেছে দিল্লি পুলিশও। গাজিয়াবাদের ঘটনায় কিরণের পাশাপাশি অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর, উত্তরপ্রদেশের দুই সাংবাদিক এবং তিনি কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে দিল্লি পুলিশের তিলক মার্গ থানায়।
গত ৫ জুন দিল্লি লাগোয়া গাজিয়াবাদে আব্দুল সামাদ নামে এক বৃদ্ধকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুষ্কৃতীরা মারধর করে বলে অভিযোগ। ওই গণপিটুনির ঘটনায় প্রবেশ গুজ্জর, আদিল এবং কাল্লু নামে তিন জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে সামাদ জানিয়েছেন, তাঁকে তুলে শহরের পাশে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। জোর করে ‘বন্দে মাতরম’, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে বাধ্য করানো হয়। যদিও উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লি পুলিশের দাবি এই ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের কোনও যোগসূত্র নেই।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে চলতি সপ্তাহেই মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের আইন রক্ষাকবচ কেড়ে নিয়েছে কেন্দ্র। সম্প্রতি কংগ্রেস-টুলকিট সংক্রান্ত মামলায় বিজেপি-র অভিযোগের ভিত্তিতে টুইটারের ভারতীয় শাখার প্রধান কিরণকে জেরা করেছে দিল্লি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy