ছবি: সংগৃহীত।
কংগ্রেসের শীর্ষে থাকা গাঁধী পরিবারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। মুখ খুলেছেন কংগ্রেসের ‘চিরশত্রু’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসাতেও। তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে হাজার জল্পনার মাঝে ফের মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। জানিয়ে দিলেন, ৫ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোটে দলের যে কোনও প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে রাজি। শুধু ডাক পেলেই হল। সেই সঙ্গে তাঁর সাফ বক্তব্য, “কংগ্রেসকে জেতানোই আমার প্রধান লক্ষ্য।”
শুক্রবার আজাদ বলেন, “৫ রাজ্যে দলের এবং দলীয় প্রার্থীদের হয়ে আমরা প্রচারে নামব। সেটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য হবে। কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। দলের সহকর্মীদের তরফে এ কথা বলছি।”
কংগ্রেসের তরফে মুখ খুললেও ১৩৫ বছরের পুরনো দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ‘বিক্ষুব্ধ শিবিরের’ যে ২৩ জন নেতা গত অগস্টে চিঠি ধরিয়েছিলেন অন্তর্বর্তিকালীন সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে, আজাদ তাঁদের অগ্রভাগে রয়েছেন। তাঁর পাশাপাশি সেই শিবিরে আনন্দ শর্মা, কপিল সিব্বল থেকে শুরু করে শশী তারুরের মতো সাংসদও রয়েছেন। মূলত সনিয়া-পুত্র রাহুল গাঁধীর দিকেই তির ছুড়েছিলেন তাঁরা। দলের কাজকর্ম নিয়েও প্রকাশ্যেই আক্রমণ করেছেন। তা নিয়ে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে তাঁদের সঙ্গে আলোচনাতেও বসেছিলেন সনিয়া। তবে গোটা পর্বে প্রকাশ্যে এসে পড়েছে কংগ্রেসের দুর্বলতা।
জি-২৩ নামে পরিচিত ওই শিবিরের রাজ্যসভার সাংসদ আজাদকে এর পর দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভূয়সী প্রশংসা করতে। তার আগে অবশ্য রাজ্যসভায় তাঁর অবসরের দিনে মোদীর চোখের জল থেকে প্রশংসা— সবই জুটেছিল আজাদের। এর পর জম্মু ও কাশ্মীরের একটি অনুষ্ঠানে মোদীর প্রশংসার পঞ্চমুখ হতে দেখা গিয়েছিল আজাদকে। মোদীকে মাটির মানুষ বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। যদিও সেই ঘটনার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন আজাদ। তাঁর মন্তব্য ছিল, “প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করার পিছনে একটা প্রেক্ষাপট ছিল। এমনিই তাঁর প্রশংসা করিনি।”
আজাদের মন্তব্যের পরেও তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা থামেনি। অনেকের কটাক্ষ ছিল, মোদী কি এ বার তাঁকে কোনও সরকারি পদে বসাবেন? অনেকে আবার আজাদের দল বদলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে শুক্রবার সে সব জল্পনাতেই আপাতত ইতি টেনেছেন স্বয়ং আজাদ। দলের প্রতি তাঁর একনিষ্ঠ হওয়ার সাফ ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy