আবার সেই ওড়িশা। আবার ময়ূরভঞ্জ জেলা। এক কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কিশোরী কোনও রকমে পালিয়ে আসে। বাড়িতে এসে বিষয়টি জানায় সে। তার পরই পুলিশের কাছে অপহরণ এবং ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। কিশোরীর বয়ানও রেকর্ড করেছে পুলিশ।
অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্তদের ধরতে একটি দল গঠন করে পুলিশ। মূল অভিযুক্তকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি তিন জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ৪ অগস্টের। দু’দিন আগে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর সঙ্গে মূল অভিযুক্তের আগে থেকেই পরিচয় ছিল। ৪ অগস্ট বাড়ি থেকে বেরিয়ে টিউশনে যাচ্ছিল কিশোরী। ওই পরিচিত যুবক কিশোরীর পথ আটকায়। তাঁকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। অভিযোগ, কিশোরী রাজি না হওয়ায় তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যান পাশেরই একটি পাহাড়ি জঙ্গলে। সেখানে আগে থেকেই যুবকের তিন বন্ধু ছিলেন। তাঁরা সকলে মিলে কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে, অভিযুক্তদের কাছ থেকে কোনও রকমে পালিয়ে আসে কিশোরী। বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। তার পরই অভিযোগ দায়ের হয়। বৃহস্পতিবারই আঙ্গুল জেলায় এক আদিবাসী মহিলাকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় দুই নাবালক-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত জুন থেকে পর পর বেশ কয়েকটি ধর্ষণ এবং গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের গঞ্জাম, ময়ূরভঞ্জ, কেওনঝর জেলায়। বার বার একই ধরনের ঘটনায় মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। ময়ূরভঞ্জ জেলায় আবার একই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।