ছবি: প্রতিনিধিত্বমূলক।
১২ বছরের কিশোরীকে বিক্রি এবং বাল্যবিবাহে প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার পাঁচ জন। মধ্যপ্রদেশের ভোপালের ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৭ জুন ওই জনজাতি কিশোরীর বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। পাত্রের বয়স ২৭ বছর। ভোপালের কাছে গুনাগা থানার অন্তর্ভুক্ত এলাকায় বসেছিল বিয়ের আসর। মহিলা এবং শিশু কল্যাণ দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিয়ে ভেঙে দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪০ হাজার টাকায় ওই পাত্রের কাছে বিক্রি করা হয়েছিল কিশোরীকে। কিশোরীর বাবা-মাকে আগাম ২০ হাজার টাকা দেওয়ার হয়েছিল। পাত্রের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছিল, বিয়ের পর বাকি ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
ভোপাল রুরালের পুলিশ সুপার কিরণলতা কারকেট্টা বলেন, ‘‘মহিলা এবং শিশু কল্যাণ দফতর গত সোমবার, ২৬ জুন আমাদের বাল্যবিবাহের খবর দেয়। তারা জানায়, ২৭ জুন গুনাগা থানার অন্তর্ভুক্ত এলাকায় ওই বিয়ে হতে চলেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি, কিশোরীর গায়েহলুদের অনুষ্ঠান হচ্ছে। তদন্ত করে জানা যায়, কিশোরীর বয়স ১২ বছর। পাত্রের বয়স ২৭ বছর।’’ ওই পুলিশ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, কিশোরী তাঁদের জানিয়েছে, ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে তার বিয়ে ঠিক করেছিলেন অভিভাবকেরা। সে বাধা দিলেও লাভ হয়নি।
পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, কিশোরীর বাবা, মা, পাত্র এবং তাঁর বাবা, মা, এই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইন, তফশিলি জাতি/ জনজাতি আইন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধী আইন এবং জুভেনাইল জাস্টিস আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। পাঁচ জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে। ‘দালাল’-দের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy