Advertisement
E-Paper

বিচারপতি মিত্তলকে পুরস্কার, বিতর্কে কেন্দ্র

দিল্লি হাইকোর্টে কেন্দ্র নিজে বহু মামলার শরিক। বিশেষত অরবিন্দ কেজরীবালের দিল্লি সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের আইনি বিবাদ চলছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৮ ০৩:২৩
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে গীতা মিত্তল। নিজস্ব চিত্র

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে গীতা মিত্তল। নিজস্ব চিত্র

মোদী জমানায় বিচারবিভাগের উপর ছড়ি ঘোরানোর অভিযোগ নতুন নয়। এ বার নারী দিবসে দিল্লি হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তলকে নারীশক্তি পুরস্কার দেওয়ায় ফের সেই অভিযোগ মাথা চাড়া দিল।

দিল্লি হাইকোর্টে কেন্দ্র নিজে বহু মামলার শরিক। বিশেষত অরবিন্দ কেজরীবালের দিল্লি সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের আইনি বিবাদ চলছে। তারই মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে পুরস্কার দিয়ে কেন্দ্র প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিচারপতিদের এই ধরনের পুরস্কার নেওয়া উচিত কি না, তা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রবীণ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহের প্রশ্ন, ‘‘কর্মরত বিচারপতি, বিশেষ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিরা কবে থেকে সরকারের থেকে পুরস্কার নিতে শুরু করলেন?’’

এ বছর মেনকা গাঁধীর নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক মোট ৩৯ জন মহিলা ও সংগঠনকে ‘নারীশক্তি পুরস্কার’-এর জন্য বাছাই করেছে। বিচারপতি মিত্তলকে এই পুরস্কারের জন্য বাছার পিছনে সরকারি যুক্তি হল, মহিলা ও শিশুদের উপর যৌন হিংসার মামলায় একই প্রক্রিয়ায় শুনানি হলে সুবিচার হয় না। বরং এজলাসে নির্যাতিতাদের আরও একবার যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। বিচারপতি মিত্তল হাইকোর্টে পৃথক ‘ভালনারেবল উইটনেস ডিপোজিশন কমপ্লেক্স’ তৈরি করেন। তারই স্বীকৃতি এই পুরস্কার।

আজ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে সেই পুরস্কার নিয়েছেন বিচারপতি মিত্তল। পুরস্কারের এক লক্ষ টাকা তিনি জনসেবায় দান করে দিয়েছেন বলে সূত্রের দাবি। কিন্তু আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের মত, ‘‘কর্মরত বিচারপতিদের এই ধরনের পুরস্কার দেওয়া বা নেওয়া একেবারেই অনুচিত। এতে বিচারবিভাগের স্বাধীনতা খর্ব হবে।’’ পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও তুলেছেন অনেকে।

বস্তুত অবসরের পরেও বিচারপতিদের সরকারি পদ গ্রহণ করাটা উচিত কি না, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভি গোপালা গৌড়া যেমন সম্প্রতি বলেছেন, অবসরের পরে সরকারি পদ গ্রহণের অর্থ বিচারপতি হিসেবে শপথ ভঙ্গ। আবার অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আর এম লোঢার বক্তব্য, অবসরের পরে সাংবিধানিক বা সরকারি পদ গ্রহণের মাঝে অন্তত দু’বছরের ব্যবধান থাকা উচিত। মোদী জমানার শুরুর দিকেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পি সদাশিবম অবসর নেন। তার পরপরই তাঁকে কেরলের রাজ্যপাল করা হয়। অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এইচ এল দাত্তু-ও অবসরের কিছু দিনের মধ্যেই মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হয়েছেন।

International Women's Day Gita Mittal Chief Justice Delhi High Court Nari Shakti Purashkar গীতা মিত্তল নারীশক্তি পুরস্কার
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy