মনোহর পর্রীকর।
ক্যানসার ধরা পড়েছিল স্টিভ জোবসেরও। তার পরেই জীবনের সেরা কাজগুলো করে গিয়েছেন তিনি। অ্যাপলের প্রাণপুরুষের এমন উদাহরণ দিয়েই আজ বম্বে হাইকোর্টে গোয়া সরকার জানাল, মনোহর পর্রীকরের ক্যানসার ধরা পড়েছে মানেই তিনি যে রাজ্য প্রশাসন চালনায় অক্ষম— এমন ভাবার কারণ নেই।
অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের রোগী পর্রীকরের টানা চিকিৎসা চলছে গত ফেব্রুয়ারি থেকে। বিদেশেও ঘুরে এসেছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই ইস্তক তাঁর কর্মক্ষমতা নিয়ে নিয়মিত প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। গোয়ায় সরকার বদলের ডাকও দিয়েছেন। পর্রীকরের শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার আর্জি জানিয়ে আদালতে গিয়েছেন গোয়া
ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা ট্রাজান ডি’মেলো। তাঁর বক্তব্য, চিকিৎসক দল গঠন করে পর্রীকরের স্বাস্থ্য খতিয়ে দেখে তার রিপোর্ট দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে বলা হোক মুখ্যসচিব ধর্মেন্দ্র শর্মাকে।
গত কাল সেই মামলারই শুনানিতে গোয়ার অ্যাডভোকেট জেনারেল দত্তাপ্রসাদ লভন্ডে অভিযোগ করেন যে, মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশের এই আবেদনে কোনও সৎ উদ্দেশ্য নেই। উল্টে তা মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিপরিসরের অধিকারকেই লঙ্ঘন করছে। মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সদস্য ও সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন, প্রশাসনেও নজর রাখছেন। তখনই জোবসের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ক্যানসার ধরা পড়েছে বলেই মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা চাওয়া যায় না।’’ প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে ক্যানসার ধরা পড়েছিল জোবসের। প্রথম আইফোন প্রকাশ্যে আসে তারও চার বছর পরে।
আজই তেষট্টিতে পড়লেন পর্রীকর। চিকিৎসকদের পরামর্শে গত দু’দশকের মধ্যে সম্ভবত এই প্রথম জন্মদিনে বাড়ি থেকে বেরোননি তিনি। না-হলে কখনও অন্য রাজ্যে থাকলেও জন্মদিনে বরাবর গোয়ায় ফিরে এসেছেন, যোগ দিয়েছেন জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। তবে রাজ্য বিজেপির তরফে আজ পর্রীকরের আরোগ্য কামনায় পুজো দেওয়া হয়েছে মুম্বইয়ের মহালক্ষ্মী মন্দিরে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের দু’টি স্কুলকে নিয়ে অনুষ্ঠান ও রক্তদান শিবিরও হয়েছে এ দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy