ট্র্যাফিক জরিমানা বাবদ ১৭ লক্ষেরও বেশি টাকা ‘আয়’ করে ফেলেছিলেন এক মহিলা পুলিশকর্মী! খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোয়ায়। সঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতরও। বিতর্কের আবহে তড়িঘড়ি ওই মহিলা কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভাগ।
সম্প্রতি বিবৃতি দিয়ে গোয়া পুলিশ জানিয়েছে, তাদের এক মহিলা কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ট্র্যাফিক জরিমানা বাবদ ১৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি পুরো টাকা সরকারি অ্যাকাউন্টে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিভাগ। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছে গোয়া পুলিশ।
আরও পড়ুন:
খবরে প্রকাশ, ওই মহিলা কনস্টেবলের নাম পূজা গাওয়াস। উত্তর গোয়ার বিচোলিম থানায় কর্মরত ছিলেন পূজা। পরে তাঁকে অন্য বিভাগে বদলি করা হয়। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই দেখা যায়, ট্র্যাফিক পুলিশের রেকর্ড এবং সরকারি ব্যাঙ্কে জমার রসিদের মধ্যে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। এর পরেই সন্দেহ হয় ঊর্ধ্বতন কর্তাদের। ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দেন বিচোলিমের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। সেই তদন্তেই জানা যায়, ট্র্যাফিক জরিমানা বাবদ মোট ১৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন ওই পুলিশকর্মী।
খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কেন ওই কনস্টেবলকে বরখাস্ত করার নির্দেশ কার্যকর করতে এত দেরি হচ্ছে, তা নিয়ে রাজ্য সরকারকে দুষতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। বুধবার কংগ্রেস বিধায়ক কার্লোস ফেরেইরা বলেন, ‘‘এ তো গুরুতর অপরাধ! তবুও কেন কোনও এফআইআর হল না? কেন ওই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হল না? তা হলে কি তাঁর মাথার উপরে কারও হাত রয়েছে যিনি তাঁকে রক্ষা করছেন? উর্দি পরে এঁরা প্রকাশ্যে লুটপাট চালাচ্ছেন! এঁদের বরখাস্ত নয়, বরং বহিষ্কার করা উচিত। সরকারকে জবাব দিতে হবে।’’