দল বেঁধে শিকার করতে গিয়েছিলেন। বন্য শূকর ভেবে হঠাৎ নিজেদেরই সঙ্গীকে গুলি করে বসলেন বাকিরা! গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।
আরও পড়ুন:
ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন ন’জন যুবক। ধৃতদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন, প্রমাণ লোপাট-সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ জানুয়ারি পালঘরের মনোর এলাকার বরশেটি গ্রামের বাসিন্দারা মিলে দল বেঁধে বন্য শূকর শিকার করতে বনে গিয়েছিলেন। জঙ্গলের ভিতর ঢুকেই গ্রামবাসীরা শিকারের সন্ধানে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে যান। কিছু ক্ষণ পর হঠাৎ শুকনো পাতার উপর দিয়ে কারও হাঁটার শব্দ শোনেন দলেরই এক জন। সাতপাঁচ না ভেবে বন্য শূকর ভেবে পর পর বেশ কয়েকটি গুলি চালিয়ে দেন তিনি। কিন্তু গুলি গিয়ে লাগে তাঁরই দুই সঙ্গীর গায়ে। তাঁদের মধ্যে এক জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। অন্য জনের অবস্থাও সঙ্কটজনক।
আরও পড়ুন:
পালঘরের ডেপুটি পুলিশ সুপার অভিজিৎ ধরশিবকর সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘‘সঙ্গীদের ছোড়া গুলিতে দু’জন গুরুতর আহত হন। তাঁদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক জনের। নিহতের নাম রমেশ ভার্থ (৬০)। কিন্তু এর পর বাকিরা পুলিশে খবর দেওয়ার পরিবর্তে দেহটি ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে রেখে ফিরে আসেন বলে অভিযোগ।’’ সোমবার নিহতের স্ত্রী থানায় স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তে নেমে গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এর পর বুধবার বাকি গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনাস্থলে গিয়ে রমেশের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।