জেড প্লাস নিরাপত্তা ফেরত পেতে কেন্দ্রের কাছে দরবার করবেন না বলেছিলেন তরুণ গগৈ। কিন্তু আগের অবস্থান থেকে সরে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য চিঠি পাঠালেন তিনি।
২০০৭ থেকে জেড প্লাস পর্যায়ের নিরাপত্তা পেতেন গগৈ। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তাঁর সেই নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, গগৈ চিঠিতে লিখেছেন— ‘অসমে জেহাদি কার্যকলাপ বাড়ছে। তাঁর আমলে জেহাদিদের বিরুদ্ধে কড়া ভূমিকা নিয়েছিল রাজ্য সরকার। তাই তাঁর এখনও জীবন সংশয় রয়েছে।’ গগৈয়ের অভিযোগ, পরিস্থিতি পর্যালোচনা না করে শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশে তাঁর নিরাপত্তা লঘু করা হয়েছে। তিনি লেখেন, “আমি আপনার দয়া বা কেন্দ্রের কাছে কোনও সাহায্য চাইছি না। আপনি শুধু বিবেচনা করে দেখুন এনএসজি নিরাপত্তা প্রত্যাহারে ন্যায়বিচার হয়েছে কি না।” চিঠিতে প্রফুল্ল মহন্তর এনএসজি নিরাপত্তা বহাল থাকার কথা উল্লেখ করে গগৈ লেখেন, ‘মহন্ত ১৫ বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু এখনও তিনি জেড প্লাস পাচ্ছেন। অথচ তাঁর ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী পদ যাওয়ার মাস ছ’য়েকের মধ্যে নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হল। এ নিয়ে রাজ্য পুলিশের মতামত নেওয়ারও প্রয়োজন মনে করেনি কেন্দ্র।’ অসম পুলিশও জানিয়েছে, রাজ্যে জেড প্লাস প্রাপকদের তালিকায় এখনও
গগৈয়ের নাম রয়েছে। তাঁর এনএসজি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে রাজ্য পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, অসমে গগৈ ও মহন্তই শুধুমাত্র জেড প্লাস নিরাপত্তা পান। একেক জনের জেড প্লাস নিরাপত্তার খরচ ছিল মাসে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। জেড প্লাস নিরাপত্তায় এনএসজি কম্যান্ডো-সহ মোট ৩৬ জন নিরাপত্তাকর্মী থাকেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরাও গগৈয়ের জেড প্লাস প্রত্যাহারের বিরোধিতা করে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy