কয়েক কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগের জেরে হাইলাকান্দির জলসম্পদ দফতরে তালা দিল প্রশাসন। এ নিয়ে তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জলসম্পদ বিভাগের কয়েকটি প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে আজ ম্যাজিস্ট্রেট ডি হাতিবড়ুয়াকে সঙ্গে নিয়ে সুদর্শনপুর এবং মহমদপুর-বিষ্ণুপুর এলাকার তিনটি প্রকল্প পরিদর্শনে করেন হাইলাকান্দির বিধায়ক আনোয়ার হুসেন লস্কর। ওই সময় প্রকল্পের ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা বিধায়ককে হেনস্থা করার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। বিধায়ক সেখান থেকে জলসম্পদ বিভাগের হাইলাকান্দি দফতরে চলে যান। তিনি জানান, ওই সব প্রকল্পের কাজের নকশা, বরাদ্দ টাকার পরিমাণ ও খরচের হিসেব দেখতে চাইলেও বিভাগীয় কর্মীরা তা দেখাতে দেখাতে রাজি হননি। ওই অফিসের কার্জবাহী কর্তা পি এন দাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন বিধায়ক। কিন্তু তিনি জেলার বাইরে থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। দফতরের প্রধান করণিক সফিকুর রহমান চৌধুরী বিধায়ককে জানান, ওই সব প্রকল্পের সমস্ত নথিপত্র ইঙ্গিনিয়ার নিয়ে গিয়েছেন।
এর পরই বিধায়ক জলসম্পদ বিভাগের তিনটি প্রকল্পে প্রায় ২১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন। তদন্তের দাবিও জানান। ওই দফতর থেকে কাগজপত্র লোপাট হতে পারে সেই আশঙ্কা করেন বিধায়ক। ম্যাজিস্ট্রেট তখন জেলাশাসকের অনুমতি নিয়ে ওই কার্জালয়ের বিল ও টেন্ডার বিভাগের দরজা ‘সিল’ করে দেন। কার্জালয়ের টেন্ডার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চন্দ্রশেখর দত্ত এ সব বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।
পরে বিধায়ক বলেন, ‘‘খবর পেয়েছিলাম জলসম্পদ বিভাগের অধীনে কয়েকটি ভুয়ো প্রকল্প চলছে। কয়েক বস্তা বালি ফেলে নদী ভাঙনের মেরামতির কাজ দেখানো হচ্ছে। কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে কয়েক জন। বিধায়কের অভিযোগ, ওই সব প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদাররা পাঁচগ্রামে নগীর ভাঙন মেরামতির নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছেন। তাঁদের তিনি ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করার দাবি জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy