তিন তালাক প্রথা বদলের জন্য চাপ বাড়াচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এর মধ্যেই সারা ভারত মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড জানিয়ে দিল, তিন তালাক প্রথা নিয়ে একটি আচরণবিধি চালু করতে চলেছে তারা। বোর্ড জানিয়েছে, শরিয়ত আইনে কারণ না দেখিয়ে যাঁরা তালাক দেবেন, তাঁদের সামাজিক ভাবে বয়কট করা হবে। এর সঙ্গেই বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক মৌলানা ওয়ালি রহমানি স্পষ্ট বক্তব্য, দেশে মুসলিম পার্সোনাল আইনের রূপায়ণ তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার।
গত অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্টে মোদী সরকার তিন তালাক প্রথার বিরোধিতা করে। সরকারের শীর্ষ মন্ত্রীদের দাবি, তিন তালাক প্রথা নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলাদের তরফেই আপত্তি উঠেছে। তার ভিত্তিতেই এই প্রথার বিরোধিতা করছেন তাঁরা। পরিস্থিতির বদল চাইছেন। যদিও মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক জানান, মুসলিম সম্প্রদায় যাতে নিজেদের ধর্মীয় আচার মেনে চলতে পারে, সংবিধান তাদের সেই অধিকার দিয়ে রেখেছে। তাঁর মতে, মুসলিম পার্সোনাল ল-য়ের পথে কোনও বাধা আসা উচিত নয়। তবে তিন তালাক নিয়ে চাপের মুখে বোর্ড নিজেই যে নড়েচড়ে বসেছে, সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে তার ইঙ্গিত মিলেছে।
রহমানি বলেন, ‘‘তিন তালাক নিয়ে একটি আচরণবিধি জারি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে তালাক নিয়ে শরিয়ত আইনের নির্দেশগুলি সামনে নিয়ে আসা হবে। শরিয়ত আইনে কারণ না দেখিয়ে যাঁরা তালাক দেবেন, তাঁদের সামাজিক ভাবে বয়কট করা হবে।’’ বোর্ড দেশের মসজিদগুলির ইমাম, মৌলানাদের কাছে আর্জি জানাচ্ছে, তাঁরা যেন শুক্রবারের নমাজের সময়ে আচরণবিধি পড়ে শোনান ও এর রূপায়ণে জোর দেন।
তালাক নিয়ে বিতর্কে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার পাশাপাশি মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড স্পষ্ট করেছে, শরিয়ত আইনে হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না তারা। কারণ বোর্ডের মতে, দেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকাংশ মানুষ তাঁদের পার্সোনাল ল-এ কোনও পরিবর্তন চাইছেন না। রহমানির দাবি, এই বিষয়ে সারা দেশে সই সংগ্রহ করেছে বোর্ড। সেই সময় মুসলিম সম্প্রদায়ের পুরুষ-মহিলারা জানিয়েছেন, ভারতের সংবিধানই তাঁদের ধর্মাচারণের অধিকার দিয়েছে।
রহমানি জানান, বারবি মসজিদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নেবেন তাঁরা। তবে আদালতের বাইরে কোনও সমঝোতা মেনে নেবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy