প্রতীকী ছবি।
দেশে ‘জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা’ আইন অনুসারে সকলে যাতে পেট ভরে খেতে পারে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। সেই লক্ষ্যেই এই মরসুমের জন্য চাল রফতানি বন্ধ রাখতে ‘বাধ্য’ হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর কারণ হিসাবে বর্ষায় কম বৃষ্টিপাতকে মূলত দায়ী করা হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম বর্ষণের জন্য খরিফ চাষ (গ্রীষ্মে রোপণ করা ফসল) মার খেয়েছে।
বাণিজ্য এবং খাদ্য মন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, মূলত সাদা ভাঙা চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে বাসমতী চাল রফতানির ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ নেই। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের যে সমস্ত রাজ্যে বেশি পরিমাণে ধান উৎপাদন হয়, সেই সমস্ত রাজ্যে বৃষ্টিপাত কম হওয়ার জন্য অনেক কৃষকই ধানের চাষ না করে অন্য ফসলের চাষ করেছেন। অপর দিকে চিন-সহ বিশ্বের নানা দেশে খরা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায়, আন্তর্জাতিক বাজারে চালের চাহিদাও রয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদাকেই অগ্রাধিকার দিতে চাইছে সরকার।
বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ডের মতো যে সব রাজ্য ধান চাষ ভাল হয়, সেই সব রাজ্যগুলিতে এবার ধানের ফলন মার খেয়েছে। গত বছর দেশের মোট ধান উৎপাদক অঞ্চলের পরিমাণ ছিল ৩৯ লক্ষ হেক্টর। এ বার সেটাই কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ মিলিয়ন হেক্টরে।
দেশের অন্তত ৬০ শতাংশ শস্য চাষের জন্য কৃষকরা বৃষ্টির জলের উপর নির্ভরশীল। ২৬ অগস্ট পর্যন্ত দেশে সামগ্রিক ভাবে স্বাভাবিকের তুলনায় আট শতাংশ বেশি বৃষ্টি হলেও, উত্তরপ্রদেশে স্বাভাবিকের তুলনায় ৪৫ শতাংশ, বিহারে ৪১ শতাংশ, পশ্চিমবঙ্গে ২৭ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। কম বৃষ্টিপাত এবং সেই কারণে কম ফলনের জন্য দেশের অনেক রাজ্যেই ন্যায্য সহায়ক মূল্যের তুলনায় ধানের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy