Advertisement
E-Paper

‘এ ভাবে বাঁচা যায় না’! মৃত্যুর আগে চিঠিতে লেখেন গ্রেটার নয়ডার ডাক্তারি ছাত্রী, দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ তুললেন

গ্রেটার নয়ডার অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার বলেন, ‘‘ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৫ ১৬:৫৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

তিনি আর সহ্য করতে পারছেন না। এ ভাবে কত দিন অপমান, হেনস্থা মেনে নেওয়া যায়? তাই বেঁচে থেকে আর লাভ নেই। আত্মহত্যার আগে চিঠিতে এমনই বেশ কয়েকটি কথা লিখে গিয়েছেন হরিয়ানার গুরুগ্রামের তরুণী। তিনি উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার একটি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। শুক্রবার রাতে কলেজের হস্টেল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন, হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন ওই ছাত্রী। ইতিমধ্যেই সেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

হস্টেলে ওই ছাত্রীর ঘর থেকে একটি চিঠি উদ্ধার হয়েছে। সেখানে দুই অধ্যাপককে তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী করে গিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শুধু তা-ই নয়, চোয়েছেন, যে মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে, যাঁরা তাঁর সঙ্গে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাঁরাও যেন সেই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যান। তাঁর মতো তাঁদেরও যেন একই পরিস্থিতির শিকার হতে হয়।

পুলিশ জানিয়েছে চিঠিতে ওই ছাত্রী লিখেছেন, ‘‘ওঁরা আমাকে মানসিক নির্যাতন করেছেন। আমাকে দিনের পর দিন অপমান করেছেন। ওঁদের জন্যই দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছি। আমিও চাই আমার মতো ওঁদেরও একই অবস্থা হোক। আর পারছি না এ সব সহ্য করতে। এ ভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব? পারলাম না। দুঃখিত।’’

পুলিশ সেই চিঠি উদ্ধার করেছে। দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তকমিটি গঠন করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, পুলিশ এবং আইনকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করা হবে। কলেজ থেকে দুই অভিযুক্তকে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করা হয়েছে।

গ্রেটার নয়ডার অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার বলেন, ‘‘ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ এই ঘটনায় কলেজের পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

Student Death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy