পাত্রী বিয়ে ভেঙে দিতেই দুই পরিবারের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা চরমে পৌঁছয়। প্রতীকী ছবি।
পাত্রকে তিনশো টাকা গুনতে দিয়েছিলেন পুরোহিত। না পারায় বিয়ে বাতিল করলেন পাত্রী। উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদ জেলার ঘটনা।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন পাত্রের আচরণে পুরোহিতের সন্দেহ হয় যে, তিনি মানসিক ভাবে সুস্থ নন। এর পর ওই পুরোহিত পাত্রীপক্ষকে বিষয়টি জানান। পাত্র সত্যিই মানসিক ভাবে অসুস্থ কি না, তা বুঝতে পুরোহিত তাঁকে ৩০টি দশ টাকার নোট গুনতে বলেন। কিন্তু পাত্র সেই টাকা গুনতে ব্যর্থ হন। এর পর পাত্রের বাড়ির লোক স্বীকার করে নেন যে তিনি মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন। তবে পরিবারের তরফে তা গোপন রেখেই বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। পাত্রপক্ষের কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে বিয়ে ভেঙে দেন পাত্রী।
পাত্রী বিয়ে ভেঙে দিতেই দুই পরিবারের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা চরমে পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
পাত্রের পরিবারের বিরুদ্ধে পাত্রের অসুস্থতার কথা লুকিয়ে বিয়ে দেওয়ানোর অভিযোগ এনেছেন পাত্রীর পরিবার। এই প্রসঙ্গে পাত্রীর ভাই বলেন, “এক জন আত্মীয় এই সম্বন্ধ নিয়ে আসেন। তাই আমরা বিশ্বাস করে এই বিয়ে ঠিক করেছিলাম। এর আগে বরের সঙ্গে দেখা হয়নি। কিন্তু, যখন পুরোহিত তাঁর অদ্ভুত আচরণ সম্পর্কে আমাদের জানান, আমরা তাঁর মানসিক অসুস্থতার কথা জানতে পারি এবং আমার বোনও এই বিয়ে করতে অস্বীকার করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy