বিয়ের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নববধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করলেন স্বামী। তার পর গলায় দড়ি দিলেন নিজেও। শনিবার উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে। আচমকা নবদম্পতির রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাতেও।
আরও পড়ুন:
রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, অযোধ্যার এক যুবক তাঁর স্ত্রীকে বিয়ের অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টা পরেই শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন। এর পর আত্মহত্যা করেছেন নিজেও। পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম প্রদীপ। তিনি অযোধ্যা ক্যান্টনমেন্ট থানার অন্তর্গত সাদাতগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। শনিবারই শিবানী নামে এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল প্রদীপের। শনিবার বিকেলে বরযাত্রীর দল প্রদীপদের বাড়িতে ফিরে আসেন। এর পর সেখানেই গভীর রাত পর্যন্ত বিবাহ-পরবর্তী আচার-অষ্ঠানগুলি পালন করা হয়। সব অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর শনিবার রাতে নবদম্পতি নিজেদের ঘরে ঢুকে যান। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু রবিবার সকালে তাঁদের ডাকতে গিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দেখেন, ভিতর থেকে দরজা বন্ধ। বার বার দরজায় ধাক্কা দিয়েও সাড়া না পেয়ে শেষে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন পরিজনেরা। তখনই বিছানায় শিবানীর মৃতদেহ দেখতে পান তাঁরা। সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছিল প্রদীপের দেহ। সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আসার পর শুরু হয় তদন্ত।
আরও পড়ুন:
সিনিয়র পুলিশ সুপার রাজ করণ নায়ার জানিয়েছেন, যে হেতু ঘরটি ভিতর থেকে বন্ধ ছিল, তাই প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, আত্মহত্যার আগে নববধূকে হত্যা করেছেন স্বামীই। বাইরে থেকে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকারও কোনও চিহ্ন মেলেনি। তবে কেন আচমকা এমন ঘটালেন প্রদীপ, তা নিয়ে এখনও ধন্দে রয়েছে পুলিশ। মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।