সেতু বিপর্যয়ে এখনও শতাধিক মানুষ নিখোঁজ বলে আশঙ্কা। ছবি পিটিআই।
গুজরাতে সেতু বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রবিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার পর থেকে এখনও শতাধিক মানুষ নিখোঁজ বলে দাবি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোরবীতে সেতু ভেঙে মৃতের সংখ্যা ১৪১। যার মধ্যে ৪৭ জন শিশু রয়েছে।
এনডিটিভি সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যায় মোরবীতে মাচ্ছু নদীর উপর ব্রিটিশ আমলের শতাব্দী প্রাচীন সেতু ভেঙে যে ৪৭ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ঠ ২ বছরের এক খুদে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা দাবি করেছিলেন, মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা ও শিশু। সেতু ভেঙে বিপর্যয়ের ঘটনায় শোকে পাথর গোটা গুজরাত। স্বজন হারানোর শোক সামলাতে পারছেন না কেউই। ঘটনার বিভীষিকা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না প্রত্যক্ষদর্শীরাও। এক সঙ্গে এত শিশুর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার মোরবীতে দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে সোমবার গুজরাতে একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বার বার সেতু বিপর্যয়ের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন নমো। বনসাকাঁথায় এক সভায় আবেগপ্রবণ হতে দেখা যায় মোদীকে। তিনি বলেন, ‘‘এটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। এমন দুঃখ খুব কমই পেয়েছি।’’
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সেতু বিপর্যয়ে এখনও ১০০ জনের খোঁজ পাওয়া যাাচ্ছে না। সোমবার সন্ধ্যা নামায় উদ্ধারকাজ স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে আবার উদ্ধারকাজ শুরু করা হবে। নদীর জলের তলায় কাদার মধ্যে এখনও বহু মানুষের দেহ আটকে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রবিবার সন্ধ্যায় ব্রিটিশ আমলের তৈরি ওই সেতুতে প্রায় ৫০০ মানুষ ভিড় করেছিলেন। সে সময়ই আচমকা ভেঙে পড়ে ঝুলন্ত সেতুটি। এক প্রত্যক্ষদর্শীও দাবি করেছেন, সেতুতে প্রচুর মানুষের জমায়েত ছিল। সেতু ভেঙে পড়ার পরই বহু মানুষ মাচ্ছু নদীতে পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সাঁতরে ডাঙায় ওঠার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অনেকেই সাঁতার কাটতে জানতেন না, তাঁদের অনেককে টেনে ডাঙায় তুলেছেন উদ্ধারকারীরা। শতাব্দী প্রাচীন ওই সেতুটি সংস্কারের জন্য বন্ধ ছিল। গত ২৬ অক্টোবর আবার তা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তার মধ্যেই এই বিপর্যয় ঘটল। এই ঘটনায় সেতু সংস্কার সংস্থার কর্মী-সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy