আয়কর দফতরের কাছে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ঘোষণার পরই নিখোঁজ আমদাবাদের এক ব্যবসায়ী। এমনটাই দাবি ওই ব্যবসায়ী মহেশ শাহের চার্টাড অ্যাকাউটেন্টের। এক-দু’কোটি নয়, মহেশের কাছে নগদে ১৩,৬৮০ কোটি টাকা ছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বেচ্ছায় আয় ঘোষণা প্রকল্পের (আইডিএস স্কিম) আওতায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি সে কথা জানান আমদাবাদের আয়কর দফতরের আধিকারিকদের। এর পর থেকেই খোঁজ মিলছে না তাঁর।
চলতি বছরেই আইডিএস স্কিম ঘোষণা করে কেন্দ্র। গত ১ জুন থেকে এই প্রকল্পে স্বেচ্ছায় আয় ঘোষণা করা শুরু হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর সে প্রকল্প বন্ধ হওয়ার দিন নির্ধারিত ছিল। আমদাবাদ ছাড়াও পপার্টি ডিলার মহেশ শাহের ব্যবসা ছড়িয়ে রয়েছে মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে। কেন্দ্রের ওই প্রকল্পের কথা শোনার পরই একটি বেসরকারি চার্টাড অ্যাকাউটেন্সি ফার্মের এক পার্টনার তেহমুল শেথনার কাছে বিষয়টি জানতে চান মহেশ। তেহমুলের দাবি, মানসিক শান্তির জন্য নিজের আয়ের কথা জানাতে চেয়েছিলেন মহেশ। ওই প্রকল্প বন্ধ হওয়ার আগের দিন ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে আয়কর দফতরের আধিকারিকদের কাছে ওই বিপুল পরিমাণ টাকার কথা জানান তিনি। যদিও ওই ঘোষণার মধ্যে ছিল না মুম্বই-সহ অন্যান্য শহরে ছড়িয়ে থাকা সম্পত্তির কথা। তেহমুল জানিয়েছেন, এর পর আয়কর দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখাও করেন মহেশ। এমনকী, মহেশের বাড়ি থেকে ওই নগদ টাকা আনতে যাওয়ার কথাতেও রাজি হয়ে যান সংশ্নিষ্ট দফতরের আধিকারিকেরা। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম কিস্তিতে ১৫৬০ কোটি টাকা (যা ঘোষিত আয়ের উপর ৪৫ শতাংশ করের ২৫ শতাংশ) দেওয়ার কথা ছিল মহেশের। যদিও শেষমেশ সে কিস্তির টাকা দিতে পারেননি তিনি।
তেহমুলের দাবি, ২৯ সেপ্টেম্বর সারা দিনই তাঁর সঙ্গে মোবাইলে কথাবার্তা হয়েছিল মহেশের। এমনকী, সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্তও শেষ বার কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তার পর থেকেই মহেশের মোবাইল সুইচড অফ হয়ে যায়। মহেশের বাড়ি ও বিভিন্ন অফিসে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। কিন্তু, কোথাও তাঁর খোঁজ মেলেনি।
আরও পড়ুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy