জেরার মুখে মীনাক্ষী মাকে খুন করার কথা স্বীকার করেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ফাইল চিত্র ।
মায়ের কাছে প্রেমিকের সঙ্গে হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন। বাবার কানে সেই কথা যাতে না পৌঁছয়, তাই মাকেই খুন করার অভিযোগ উঠল একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। সোমবার গুজরাতের জুনাগড় জেলার ইভনগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত মায়ের নাম দক্ষ বামানিয়া (৩৫)। অভিযুক্ত মেয়ে মীনাক্ষী বামানিয়া। পুলিশ ইতিমধ্যেই ১৯ বছর বয়সি মীনাক্ষীকে গ্রেফতার করেছে। তিনি সম্প্রতি দশম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একাদশ শ্রেণিতে উঠেছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এই ঘটনার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক এসএ গাধভি জানান, সোমবার বাড়িতে কেউ না থাকায় প্রেমিককে বাড়িতে ডেকেছিলেন মীনাক্ষী। কিন্তু সেই সময় তাঁর মা চলে আসেন। মায়ের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় মেয়ে। মীনাক্ষীর প্রেমিক সেখান থেকে চলে যাওয়ার পরই মীনাক্ষী মায়ের কাছে কাকুতিমিনতি করতে থাকেন যাতে তাঁর বাবা এই বিষয়ে কিছু জানতে না পারেন। তবে রাজি হননি দক্ষ। উল্টে চিৎকার করে বাবাকে জানানোর জন্য শাসাতে থাকেন মেয়েকে। এর পরই একটি ধাতব দণ্ড এনে মায়ের মাথায় পর পর আঘাত মারতে থাকেন মীনাক্ষী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দক্ষের।
মা মারা যাওয়ার পর মীনাক্ষী তাঁর মাকে এমন ভাবে শুইয়ে রেখেছিলেন যেন কিছুই হয়নি। তবে তদন্তে নামার পর মীনাক্ষীর কথায় পুলিশের সন্দেহ হয়। জেরার মুখে মীনাক্ষী মাকে খুন করার কথা স্বীকার করেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy