গুজরাতে নৈতিক জয় হয়েছে বলে বিজেপি দাবি করলেও, এ রাজ্যে কাউকেই পছন্দ নয় যাঁদের— সংখ্যায় কম নন তাঁরা। এঁদের ভোট কংগ্রেসের পক্ষে গেলে গুজরাতে বেশ কিছু কেন্দ্রে পাল্টে যেত ভোটের ফল। একই কথা খাটে হিমাচলপ্রদেশের ক্ষেত্রেও।
গুজরাতের পোরবন্দর যেমন। বাকি রাজ্যে পদ্ম আর পোরবন্দরে পাঞ্জা— মুখে মুখে এমন হাওয়া রটেছিল ভোটের মুখে। ফল বেরোতে দেখা গেল জিতে গিয়েছে বিজেপি। তবে সামান্য ব্যবধানে। কংগ্রেসের প্রার্থীর চেয়ে মাত্র ১,৮৫৫টি ভোট বেশি পেয়েছেন বিজেপির বাবুভাই বোখরিয়া। এই কেন্দ্রে ‘নোটা’ ভোট পড়েছে ৩,৪৩৩টি। সন্দেহ নেই, এই ভোটের একটা অংশ কংগ্রেসের পক্ষে গেলেই উল্টে যেত ভোটের ফল।
এনসিপি, বিএসপির মতো স্বীকৃত জাতীয় দল গুজরাতে মোট যত ভোট পেয়েছে, তার চেয়ে বেশি সংখ্যক মতদাতা নোটা বোতাম টিপেছেন ভোটযন্ত্রে। সোমনাথ, গাঁধীধাম, নারানপুরা কেন্দ্রে নোটার সংখ্যা এই দলগুলির পাওয়া ভোটের চেয়ে বেশি। হিমাচলেও বিএসপির ভোট নোটার চেয়ে কম। গুজরাতে সাড়ে পাঁচ লক্ষেরও বেশি ভোটার জানিয়েছেন, কোনও প্রাথীকেই তাঁরা সমর্থন করছেন না। যা মোট ভোটের ১.৮ শতাংশ। হিমাচলে হারটা তুলনায় কম, ০.৯ শতাংশ। নোটা বেছেছেন প্রায় ৩৪ হাজার মতদাতা।
আগেও বেশ কিছু রাজ্যের ভোটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে নোটা। উত্তরপ্রদেশে বিপুল ভোটে জিতে বিজেপির যোগী আদিত্যনাথ এখন সরকার চালাচ্ছেন। সেই ভোটে রাজ্যের ৪০৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের লাখ সাতেক ভোটার জানিয়েছিলেন, কোনও প্রার্থীই পছন্দ নয় তাঁদের। যা উত্তরপ্রদেশের মোট ভোটের ১ শতাংশ। উত্তরাখণ্ডের সর্বশেষ নির্বাচনেও নোটা ভোট দেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। মোট ভোটের তা ১ শতাংশ। পঞ্জাবে নোটা পড়েছিল ০.৭ শতাংশ, ছোট্ট রাজ্য গোয়ায় ১.২ শতাংশ। নোটার হার অনেক বেশি ছিল বিহারে ২০১৬-র ভোটে। ২.৫ শতাংশ। নির্বাচন কমিশনের হিসেব বলছে, মোট ৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ২৭৬ জন জানিয়েছিলেন, কোনও প্রার্থীকেই পছন্দ নয় তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy