পাকিস্তান সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি যে কোনও সময়ে খালি করার জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখতে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিকে নির্দেশ দিল গুজরাত সরকার। শনিবার কচ্ছ, বনাসকাঁঠা, জামনগর এবং পাটানের জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল। মূলত সীমান্তবর্তী ওই জেলাগুলির পরিস্থিতি জানতে ওই বৈঠক ডেকেছিলেন তিনি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ওই বৈঠকেই তিনি জেলাশাসকদের গ্রাম খালি করার পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, ওষুধ, জ্বালানি-সহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের যাতে ঘাটতি না-হয়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে। কোনও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের প্রয়োজন হলে তা সরকারকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এক সরকারি বিবৃতি অনুসারে, স্যাটেলাইন ফোন, অয়্যারলেস সিস্টেম, ওয়াকি-টকি এবং অন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে এবং সাধারণ মানুষ যাতে সময়মতো তথ্য পেতে পারেন সে বিষয়েও নজর দিতে বলা হয়েছে বৈঠকে। পিটিআই জানিয়েছে, প্রয়োজন হলে পাকিস্তান সীমান্ত লাগায়ো গ্রামগুলি যাতে খালি করে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্য পরিকল্পনাও প্রস্তুত রাখতে জেলাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভার্চুয়াল ওই বৈঠকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসকদের জানিয়েছেন, গ্রামবাসীদের অন্যত্র সরানোর জন্য নিরাপদ স্থান আগে থেকে প্রস্তুত রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় গাড়ির জন্যও আগাম ব্যবস্থা করে রাখতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
সঙ্কটময় কোনও পরিস্থিতিতে রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেগুলিকে দ্রুত যান চলাচলের যোগ্য করে তুলতে হবে। সেই মতোও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য সীমান্তবর্তী ওই জেলাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন পটেল। ঘটনাচক্রে, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে পাকিস্তানও ‘অপারেশন বুনিয়ান-আন-মারসুস’ শুরু করেছে। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের আবহে শনিবার ভারতীয় সেনা এবং ভারত সরকারের যৌথ সাংবাদিক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতের পশ্চিম সীমান্তে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করছে পাকিস্তান। সাংবাদিক বৈঠকে বলা হয়েছে, ‘‘দেখা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনা তাদের সৈন্যদের সামনের দিকে এগিয়ে আনছে। এতে তাদের আক্রমণাত্মক অভিপ্রায় প্রকাশ পাচ্ছে।’’
ঘটনাচক্রে, শনিবার সকালে জম্মুর আরএস পুরা সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় পাকিস্তানি গোলাবর্ষণে আট জন বিএসএফ জওয়ান জখম হন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে পাক সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে সতর্ক করল গুজরাত সরকার।