Advertisement
E-Paper

বেঙ্গালুরুতে ধৃত আল কায়দার মহিলা জঙ্গি, কর্নাটকে বসে সংগঠনের সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম পরিচালনা করার অভিযোগ

গুজরাত এটিএসের হাতে গ্রেফতার হলেন বেঙ্গালুরুর এক যুবতী। ৩০ বছরের ওই যুবতীর নাম সামা পরভিন। পুলিশের দাবি, জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার সঙ্গে যোগ রয়েছে তাঁর। এই নিয়ে গত কয়েক দিনে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হল।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৫ ১২:০২

ছবি: সংগৃহীত।

জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার সঙ্গে যোগের অভিযোগে বেঙ্গালুরুর এক যুবতীকে গ্রেফতার করল গুজরাতের অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড (এটিএস)। ধৃতের নাম সামা পরভিন। বয়স ৩০ বছর। বুধবার তাঁর গ্রেফতারির পর গুজরাতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ রমেশভাই সঙভির দাবি, ওই মহিলা মৌলবাদী এবং অনলাইনে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন বলে অভিযোগ।

বস্তুত, গত কয়েক দিনে জঙ্গি সন্দেহে পঞ্চম অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল গুজরাত এটিএস। অন্য দিকে, গুজরাত এটিএস জানিয়েছে, বেঙ্গালুরু গিয়ে তারা সামাকে গ্রেফতার করেছে। যুবতীর মোবাইলে পাকিস্তানের বেশ কিছু পদস্থ আধিকারিকের নম্বর পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। এ-ও জানা যাচ্ছে, ধৃত সামা আদতে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। গত ৩ বছর ধরে ভাইয়ের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে বাড়িভাড়া করে ছিলেন। আগে একটি সংস্থায় চাকরি করতেন ওই যুবতী। তবে আপাতত তিনি বেকার ছিলেন।

সামার গ্রেফতারিতে বিস্মিত বেঙ্গালুরুর প্রতিবেশীরা। স্বাভাবিক ভাবে তাঁরা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি যে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে কোনও যোগসূত্র থাকতে পারে বছর ত্রিশের ছটফটে যুবতীর। তদন্তকারীদের দাবি, বেশ কয়েক জন ‘বড় মাপের মৌলবাদীর’ সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল সামার।

সামার আগে আরও চার জনকে গ্রেফতার করেছে গুজরাত এটিএস। তাঁদের বিরুদ্ধেও আল কায়দা-যোগের অভিযোগ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন দিল্লির বাসিন্দা মহম্মদ ফইক, অহমদাবাদের যুবক মহম্মদ ফরদিন, মোদাসার সইফুল্লা কুরেশি এবং নয়ডার জ়েশান আলি। এটিএসের দাবি, ধৃতেরা সকলে মিলে জঙ্গি সংগঠনের নেটওয়ার্ক বাড়ানোর কাজ করতেন। সেই সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম এবং অন্যান্য সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচারমূলক ভিডিয়ো পোস্ট করে নেটাগরিকদের মধ্যে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করতেন। তাঁরা বেনামে বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে এই অপপ্রচার এবং ভুয়ো বার্তা রটানোর কাজ করতেন।

ফরদিন নামে যে যুবককে ধরা হয়েছে, তাঁর কাছে মৌলবাদী এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের বিভিন্ন বইপত্র পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে গুজরাত এটিএস। অভিযোগ, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর বিরুদ্ধে আল কায়দার মতামত সংক্রান্ত নথিও ছিল ওই যুবকের কাছে। এঁরা একত্রে সরকারবিরোধী কাজকর্মে লিপ্ত ছিলেন।

ধৃতদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের ১৩, ১৮, ৩৮ এবং ৩৯ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এ ছাড়া ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ১১৩, ১৫২, ১৯৬ এবং ৬১ ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বুধবারই সামাকে হাজির করানো হচ্ছে আদালতে।

Gujarat Terrorist
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy