Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Gyanvapi Masjid

Gyan Vapi Mosque: জ্ঞানবাপী নিয়ে মুসলিম পক্ষের আবেদন বৃহস্পতিবার শুনবে কোর্ট

এই মামলায় পক্ষ হওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে হিন্দু সেনা। তাদের দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদ হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়া হোক।

ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
বারাণসী শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২২ ০৬:৪৯
Share: Save:

বারাণসী জেলা আদালতে আজ জ্ঞানবাপী মসজিদ-মা শৃঙ্গার গৌরী মামলার শুনানি হয়। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে বিচারক অজয়কুমার বিশ্বেশ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আগামী ২৬ মে, অর্থাৎ পরশু। শুনানির পরে হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন জানান, মুসলিম পক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে যে আবেদন জানিয়েছে, পরশু দিন তার শুনানি হবে। উভয় পক্ষকে আদালতের নির্দেশ, কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে আপত্তি থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে তা আদালতে জমা দিতে হবে।

জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানায় যে তথাকথিত শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি উঠেছে আজ তা খারিজ করে দিয়েছেন কাশী করওয়ত মন্দিরের প্রধান পুরোহিত গণেশশঙ্কর উপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, যাকে শিবলিঙ্গ বলা হচ্ছে সেগুলি আসলে ফোয়ারা। গত ৫০ বছর ধরে ওই গুলি রয়েছে। তবে ওই ফোয়ারাগুলিকে তিনি কখনও চালু অবস্থায় দেখেননি।

গত কাল বিচারক বিশ্বেশের এজলাসে আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি হয়। আদালত নিযুক্ত পর্যবেক্ষক এবং ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ-এর সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফির প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরেই গত সপ্তাহে বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর ওজুখানা ও তহ্‌খানা পুরোপুরি সিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই রায় বহাল রাখলেও সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কোনও অবস্থাতেই মসজিদে নমাজ বন্ধ করা যাবে না। প্রয়োজনে ওজুর জন্য জলের বিকল্প বন্দোবস্ত করতে হবে বারাণসী জেলা প্রশাসনকে।

এই মামলায় পক্ষ হওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে হিন্দু সেনা। তাদের দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদ হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। যাতে তাঁরা সেখানে যে তথাকথিত শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে, তার পূজা করতে পারে। একই সঙ্গে তাদের দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদ অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হোক।

মসজিদ চত্বরে ওজুখানায় যে শিবলিঙ্গের উপস্থিতি সম্পর্কে দাবি করা হয়েছে, তা উড়িয়ে দিয়েছেন কাশী কারভাত মন্দিরের প্রধান পুরোহিত গণেশশঙ্কর উপাধ্যায়। জাতীয় স্তরের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি বলেন, ‘‘ওই নির্মাণটি দেখতে অনেকটা শিবলিঙ্গের মতো। কিন্তু আমাদের কাছে খবর, ওটি আসলে ফোয়ারা। ছোটবেলা থেকে ওই ফোয়ারাগুলি দেখে আসছি।’’ তিনি জানিয়েছেন, খুব কাছ থেকেই ওই ফোয়ারা দেখেছি। এবং তা নিয়ে মসজিদের কর্মী ও মৌলবিদের সঙ্গে কথাও বলেছিলাম। সেটির আকৃতি শিবলিঙ্গের মতো কেন, তার ব্যাখ্যাও তাঁরা করেছিলেন। কিন্তু ওই ফোয়ারা তিনি কখনও চলতে দেখেননি।মসজিদে ‘নন্দী’র মূর্তি পাওয়া গিয়েছে বলে যে দাবি উঠেছে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে উপাধ্যায় বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে মোগলেরা মন্দির ভেঙেই মসজিদটি তৈরি করেছিল। মন্দিরের অবশিষ্টাংশ এখনও ওই মসজিদে পাওয়া যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE