Advertisement
১৯ মে ২০২৪
maharashtra

Maharashtra: মরাঠা ভাবাবেগকে তুষ্ট করে বিতর্কে ইতি টানতে চাইলেন রাজ্যপাল কোশিয়ারি

সমৃদ্ধশালী মহারাষ্ট্র গঠনে মরাঠাদের অবদান ‘সর্বাধিক’, স্বীকার করে নেওয়া হল রাজ্যপালের বক্তব্যে।

ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি।

ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২২ ১৮:১৯
Share: Save:

প্রবল বিতর্কের মুখে এবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি। জানালেন মরাঠাদের ‘অপমান’ করার কোনও অভিপ্রায়ই তাঁর ছিল না। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজ্যপাল বলেছিলেন, গুজরাতি ও রাজস্থানিরা চলে গেলে মুম্বই আর দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী থাকবে না। এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে কংগ্রেস, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা, শিবসেনার উদ্ধব-শিবিরের তরফ থেকে। শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের প্রতিক্রিয়া দাবি করেন। উদ্ধব ঠাকরে বলেন, ‘‘রাজ্যপাল তাঁর সীমা লঙ্ঘন করেছেন’’। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মরাঠি আবেগকে আঘাত করার গুরুতর অভিযোগ তোলে রাজনৈতিক দলগুলি। এই বিতর্কে যবনিকা টানতে এবার সক্রিয় হল মহারাষ্ট্রের রাজভবন।

শনিবার রাজ্যপালের সচিবালয়ের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। সেই বিবৃতিতে রাজ্যপালকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, “আমি গুজরাতি ও রাজস্থানিদের অবদান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ওই মন্তব্য করেছিলাম। মরাঠারা অনেক পরিশ্রমের বিনিময়ে মহারাষ্ট্রকে তৈরি করেছে। সেই জন্যই এত মরাঠা উদ্যোগপতিকে দেখা যায় এই রাজ্যে।” একটি সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘মহারাষ্ট্রের উন্নতির জন্য মরাঠিদের অবদান সবচেয়ে বেশি। মুম্বই হচ্ছে মহারাষ্ট্রের গর্ব।’

এই বিব়ৃতির মাধ্যমে রাজ্যপাল তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা মরাঠাদের ‘অপমান’ করার অভিযোগ খণ্ডন করার চেষ্টা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শিবসেনার মতো মরাঠা আবেগ-নির্ভর দলগুলি এখনই এই বিতর্কে ইতি টানতে চাইছে না। তাঁরা এই বিষয়ে রাজ্যের বিজেপি ও বিক্ষুব্ধ শিবসেনা জোট সরকারের বিবৃতি দাবি করেছে। মহারাষ্ট্রের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলেও অনতিবিলম্বে রাজ্যপালের অপসারণ চেয়েছেন।

আরও পড়ুন:
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE