ভোটের ফলপ্রকাশের আগে একটি গান ঘিরে উত্তাপ ছড়িয়েছে হাইলাকান্দির রাজনৈতিক শিবিরে।
রাজনৈতিক দলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই গানের রচয়িতা ও গায়ককে খুঁজছে পুলিশ। ওই গানের বিষয় ও ভাষা নিয়ে আপত্তি তুলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অসমের বিদায়ী মন্ত্রী তথা কাটলিছড়ার কংগ্রেস প্রার্থী গৌতম রায়-সহ তিন জন প্রার্থী। গণনার আগে ওই গান জেলার সামাজিক পরিবেশ নষ্ট করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশও।
নির্বাচন ঘিরে হাইলাকান্দির বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীরা নানা স্বাদের পল্লিগানের মাধ্যমে প্রচার চালান। সেই রেওয়াজ অনেক পুরনো। এ বারও সে ভাবে প্রাচর চালিয়েছেন অনেকেই। ১৯ মে ভোটগণনার অপেক্ষায় রয়েছে গোটা জেলা। তার তিন দিন আগে গণনাকে ভিত্তি করে একটি গান ছড়িয়েছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। গ্রাম থেকে শহরের মোবাইলে মোবাইলে বাজছে সেই গান।
গানের বিষয়বস্তু— হাইলাকান্দিতে গণনার দিন কোনও কারচুপি দেখলে যেন জেলার মানুষ তার প্রতিরোধ করেন। গানে প্রতিরোধের যে পথ জানানো হয়েছে, তা নিয়েই আপত্তি উঠেছে। কারচুপি রুখতে জেলার মানুষকে ‘জেহাদে’ সামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। ওই গানে অসমের শাসকদলের এক প্রভাবশালী নেতাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে বলে জেলার বাসিন্দাদের একাংশের অনুমান।
গানটি এ ভাবে প্রচারিত হতে থাকলে জেলায় শান্তির পরিবেশ নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা করে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য গৌতমবাবু। জেলার আরও দুই প্রার্থী— মোহন দেব ও ভাস্কর দেবও একই অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ নিয়ে গৌতমবাবু হাইলাকান্দি প্রশাসনের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। গৌতমবাবুর সচিব তথা হাইলাকান্দি জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক সঞ্জু দেব জানান, ওই গানের পিছনে থাকা কলাকুশলীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে পুলিশের কাছে আর্জি জানিয়েছেন গৌতমবাবু।
সঞ্জুবাবুর অভিযোগ, ইউডিএফ-এর এক প্রার্থীর প্রচারে ব্যহৃত গানের গীতিকার এই ঘটনায় জড়িত। পুলিশ অবশ্য এখনও পর্যন্ত শিল্পীর সন্ধান পায়নি। হাইলাকান্দির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজমোহন রায় বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে।’’ ওই গানকে গুরুত্ব না দেওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy